মাসিকের ব্যথা কেন হয়?

মাসিকে সময় জরায়ুর সংকোচন হয় প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামক হরমোনের মাধ্যমে। যাদের শরীরে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনের মাত্রা বেশি তাদের তলপেটে তীব্র ব্যথা হয়। অন্যদিকে কারো কারো কোনো স্পষ্ট কারণ ছাড়াই মাসিকের ব্যাথা তীব্র ব্যথা হয়। তবে অনেকের এই গুরুতর পিরিয়ডের ব্যথা কোনো অন্তর্নিহিত অসুস্থতার লক্ষণও হতে পারে।

মাসিকের সময় ব্যথা নারীদের একটি প্রচলিত সমস্যা। বিশেষত কিশোরীদের এ সময় কমবেশি ব্যথা হয়। সাধারণত মাসিক শুরু হওয়ার এক দিন আগে কিংবা শুরুর দিনে এ ব্যথা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসার দরকার নেই। তবে ব্যথা অস্বাভাবিক তীব্র হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কিন্তু আমাদের দেশে মাসিকের ব্যাথা কথা বলতে কিংবা চিকিৎসা গ্রহণ করতে অনেকেই সংকোচ বোধ করেন।

মাসিক ব্যথা হয় যখন গর্ভের মাংসপেশির দেয়াল সংকোচিত হয়। এটা গর্ভের দেয়ালের রক্তনালিতে সংকোচিত করে , ফলে তা সাময়ীকভাবে গর্ভে রক্ত প্রবাহ বন্ধ করেদেয়। অক্সিজেন নাথাকায় গর্ভের টিসগুলো এক ধরনের রাসায়নিক নিস্সরন করে যা শরীরের বাথের সূত্রপাত হয়। 

মাসিকের ব্যথা কত প্রকার ও কি কি?

মাসিক ব্যথা দুই প্রকের :

১ প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া 

২ সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়া

 

প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া 

সাধারণত ১৫ থেকে ২৫ বছরের তরুণীরা এতে বেশি ভোগেন। এর নিদৃস্ট কোন কারন জানা নেই। তবু কারন হিসাবে কিচু বিষয়ে ইঙ্গিত করাহয়। যেমন :মাসিকের প্রতি সংবেদনশীল বেড়ে যাওয়া ,ঘরেবাইরে অশান্তি ,পরীক্ষার চাপ, বেকারত্ত , ইত্যাদি। এছাড়া গবেষণায় কিসু হরমোনের কারন পাওয়া যায়। 

সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়া

সাধারণত ২০ থেকে ৪৫বছরের মায়েরা  এতে বেশি ভোগেন। অনেক গাইনি রোগের কারনে মাসিকের সময় ব্যাথা হয়ে থাকে।  যেমন :তলপেটের ইনফেক্শন ,জরায়োর টিউমার ,পলিপ ,জন্মগত ত্রুটি ইত্যাদি। বিবিধ কারন থাকায় মাসিকের সময় ব্যাথার ধরন ভিন্ন হয়ে থাকে। 

মাসিকের ব্যথার লক্ষণ ও উপসর্গ

>তলপেটে হালকা ব্যাথা ,ধড়ফড়ানি অং মাংসপেশিতে যন্ত্রনা 

>পিঠের নিচেরদিকে এবং উরুতে বেথা 

  • অন্যান্ন উপসর্গ 
  • বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া 
  • পাতলা পায়খানা 
  • ঘাম হওয়া 
  • মাথা ঝিম ঝিম করা 

একটি গবেষণায় দেখাগেছে ,যে সমস্ত মেয়েদের বিবাহ বা মা হবার আগে এই ব্যাথা থাকে, তাদের বিবাহের পর বা মা হবার পর আর এই ব্যাথা থাকে না। অন্নদিকে যে মায়েদের সন্তান প্রুসবের পর এই বেথা আসে তাদের আর সারতে চায়না। ৪৫ থেকে ৫০ বছর পর , যখন প্রিয়ট চলেযায়,তখন আপনা আপনিই ব্যাথা চলেযায়। 

মাসিকের ব্যথার চিকিৎসা

👉 আইবুপ্রোফেন 
👉 ট্রামাডল 
👉 এসপিরিন 
কাজ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ন্যাপ্রোক্সেন, মেফেনামিক এসিড ,অথবা আমাদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।