কান পাকা বা মধ্যকর্ণের প্রদাহ,এই সমস্যা শিশুদের বেশি হয়ে থাকে। তবে বড়দেরও হয়। সাধারণত উর্দ শ্বাসনালীর প্রদাহ ,টনসিলের ইনফেকশন ,এডিনয়েড নামক গুচ্ছ লসিকা গ্রন্থির বৃদ্বি ইত্যাদি হয়ে থাকে। এই রুগে কানে বেশ বেথা হয়,কান বন্দ মনে হয়। 

“কান পাকা” বা “মধ্যকর্ণের প্রদাহ” হলে সাধারণভাবে একজন ব্যক্তির কানের শব্দ শোনা না যায় বা শব্দের স্বর খোটা শোনা যায়। এটি একটি শ্রবণ বা কানের স্বরগোচর সমস্যা হতে পারে এবং এটি আসলে একটি আসল চিকিৎসায় দ্বিধা না করে একটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। কারণ, এটি বিভিন্ন কারণে উদ্ভাবিত হতে পারে, যেমন:

অপুষ্টি: পুরোটাও সঠিক পুষ্টি না পেলে কিংবা অপর্যাপ্ত পুষ্টি প্রাপ্ত না করলে, এর ফলে শ্রবণ সমস্যা হতে পারে।

কানের সাথে সংশ্লেষণ: কানের সমস্যা, যেমন কানের ময়ূরধ্বয় বা শ্রবণ পাথার সমস্যা, এমন কিছু যা কানে সংশ্লেষণ করে শব্দ শোনার ক্ষমতা প্রভাবিত করতে পারে।

শ্রবণ পাথার: কিছু মানুষের কানে শ্রবণ পাথার উত্পন্ন হতে পারে, যা কানে স্বর শোনার ক্ষমতা প্রভাবিত করতে পারে।

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা: মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং চাপের কারণে কানে শব্দ শোনা সহ্য করা যায় না এবং কানে স্বর খোটা শোনা যায়।

 

কারন 

.কানের পর্দার একটা স্থায়ী সমস্যা তৈরি হলে,মধ্যকর্ণের প্রদাহ হবার আশঙ্কা থাকে। 

. মধ্যকর্নের প্রদাহের কারণেও কান পাকতে পারে। 

 . অনেক সময় মধ্যকর্নের বায়োচাপের কারনে অথবা সেখানে পানি জমে থাকার ফলে এই রোগ দেখা যায়। 

 

রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ 

.কান দিয়ে পানি বা পুচপড়া 

. কানে ব্যাথা থাকে 

. অনেক সময় রক্ত আসতে পারে 

. কানে কম শোনা 

জটিলতা (complication)

কান পাকা একটি সাধারণ রোগ। তবে দীর্ঘ দিন ধরে যদি এ রোগে  শিশু ভুগতে থাকে এবং যদি তার চিকিৎসা না করানো হয় ,তাহলে পরবর্তী সময় শিশু বধির হয়ে যেতে পারে। তবে কান পাকলেই ভয় পাবার কিছুনেই।  বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ ধরনের জটিলতা হয়না। 

আর কিছু শিশুর একবার মধ্যকর্ণের প্রদাহ বালো হলেও আবার কান পাকতে পারে , সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তার দেখতে হবে। 

প্রতিরোধ (prevention)

.বারবার ময়লা কোন কিছু দিয়ে পরিষ্কার করা যাবেনা ,

. বাইরে যন্ত্রতন্ত্র কান পরিষ্কার করা যাবে না ,

. ডুব দিয়ে গোসল করা যাবেনা ,

ডান্ডা-সর্দি লাগলে চিকিৎসকের কাছে যেটা হবে ,

এগোলো করলে কানপাকা রোগ স্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা নেই এবং জটিলতাও কম হবে। 

চিকিৎসা (treatment)

কানের ভিতর পুচ পরিষ্কার করতে হবে ,অথবা অলিভ অয়েল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। 

এন্টিবায়োটিক ড্রপ ২সপ্তাহের জন্য বেবহার করতে হবে। .

একটি নাকের ড্রপ ২সপ্তাহের জন্য বেবহার করতে হবে। 

এন্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট /সিরাপ খাওয়াতে হবে 

এতে বেশিরভাগ রুগীই ভালো হয় ,না হলে, আপনার বয়স ও রুগের বর্ণনা সহ  আমাদের কাছে লিখুন।