সোরিয়াসিস ত্বকের একটি প্রদাহজনিত রোগ। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এ রোগে আক্তান্ত হতে পারে। এ রোগটি সাধারণত ১০ বছরের নিচে হয়না,তবে ১৫থেকে ৪৫বছরের মানুষের  বেশি আক্রান্ত হয়। এটি সংক্রামক রোগ নয়, কাজেই সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় না। মানুষের ত্বকের কোষস্তর প্রতিনিয়ত মারা যায় এবং নতুন করে তৈরি হয়। সোরিয়াসিস এই কোষ বৃদ্ধির হার অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। যেমন ত্বকের সবচেয়ে গভীরের স্তর থেকে নতুন কেরাটিনোসাইট কোষ ওপরের স্তরে আসতে স্বাভাবিকভাবে সময় নেয় ২৮ দিন, আর এ ক্ষেত্রে তা পাঁচ থেকে সাত দিন। কয়েক মিলিমিটার থেকে কয়েক সেন্টিমিটার জায়গাজুড়ে এই সমস্যা দেখা দেয়। পৃথিবীতে ১ থেকে ২ শতাংশ মানুষ সোরিয়াসিস রোগে আক্রান্ত।

 

কারণ (because)

এ রোগের মূল কারন এখনো জানাযায়নি।  বংশগত কারণ ছাড়া সোরিয়াসিস রোগের নির্দিষ্ট কোনো কারণ নির্ণয় করা দুরূহ। কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে দ্রুত বৃদ্ধি হতে পারে, যেমন কোন ধরনের সংক্রমণ, ত্বকে আঘাত জনিত কারণে,আবহাওয়াজনিত শীতে বেশি এবং কিছু ওষুধ সেবনের কারণে। 

রোগের প্রকারভেদ :

  1. গিটে ব্যাথা বা   arthropathy 

   2.ভিবিন্ন স্থানে পুচ আকৃতির সোরিয়াসিস বা pustular সোরিয়াসিস

   3.সারাগায়ের ত্বক লাল হয়েযাওয়া বা erythrodermic সোরিয়াসিস

 

লক্ষণ ও উপসর্গ(Signs and symptoms)

  ত্বক পুরু হয়ে যায় এবং লালচে দাগ পড়ে। 

  ত্বক চুলকায় অথবা ব্যথা হয়। আক্রান্ত অংশ রুপালি সাদা আঁশ দ্বারা আবৃত, উজ্জ্বল লালচে বর্ণের প্লাক/খত দেখা যায়।

  কোন কোন ক্ষেত্রে জয়েন্ট বা অস্থিসন্দি ফুলে যেতে পারে ও ব্যাথা হতে পারে 

  মাথায় হলে খুশকির মত হবে এবং ফোলা মনে হবে ,হাতদিয়ে ধরলে অনূভুত হবে। অনেক বেশি হলে চুল উঠতে থাকবে। 

চিকিৎসা (treatment)
1)কিটোকোনাজল শ্যাম্পু (Ketoconazole shampoo)আক্রান্ত স্থানে মেখে গুসল করা। 
2)ইমোলিয়েন্ট ক্রিম (Emollient cream)ব্যাবহার করা 
3)ফেক্সজুফেনাদিন (fexofenadine) টেবলেট রোজ ১টি করে খাওয়া। 
4)মেথুট্রাক্সাট ১০ মিলিগ্রাম (Methotrexate 10 mg)করে ৭ দিন পর পর ২ মাস।