কারেন্ট শক বা বৈদ্যুতিক শক কী?
বৈদ্যুতিক শক বলতে শরীরের ভিতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ার ফলে সৃষ্ট অণুভুতিকে বুঝায় । শরীরের ভিতর দিয়ে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলেই কেবল শক লাগে। অতি অল্প পরিমাণ প্রবাহ কোন অনুভূতি সৃষ্টি না করতে পারলেও বেশি বিদ্যুৎ প্রবাহ শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পুড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে থাকে। আজকাল শহর ও শহরতলি এবং গ্রামেও বৈদ্যুতিক ব্যাবস্থা চালু রয়েছে। বহু জাগায় অপরিকল্পিত বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার ফলে যেকোন সময় তড়িতাহত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বৈদ্যুত কত প্রকার বা শক কত প্রকার?
বিদ্যুৎ বা কারেন্ট দুই প্রকার। এসি (ac) বা ডিসি (dc). এসি কারেন্ট আকর্ষণ করে টেনেনেয়। পক্ষান্তরে ডিসি কারেন্ট শুদু ধাক্কা দেয়। সেজন্য এসি কারেন্ট বেশি মারাত্বক। ভেজা কাপড় বা গাছের সাথে বিদ্যুৎ প্রবাহের্ সংযুগের ফলে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এগুলো স্পর্শ করলে নিজেও তড়িতাহত হয়ে যাবার আশঙ্কা থাকে। মাজে মধ্যে বাড়ির ছুট খাটু বৈদ্যুতিক কাজ নিজেকেও করতে হয়। বৈদ্যুতিক কাজ করতে গিযে কখনও কখনও দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
বৈদ্যুতিক শক এর প্রাথমিক চিকিৎসা বা বিদ্যুৎ পিষ্ঠ হলে যা করণীয় :
কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তৎক্ষণাৎ যা করবেন এবং যা করবেন না। ইলেকট্রিক শক-এর পর করণীয় এবং
মানুষকে বৈদ্যুতিক শক থেকে রক্ষা করতে কোন ডিভাইস ব্যবহার করবেন।
* কারেন্ট শক বা বিদ্যুৎ পিষ্ঠ ব্যাক্তির গায়ে ছোঁয়া যাবে না।
* বিদ্যুৎ সুইস সাথে সাথে বন্ধ করে দিতে হবে।
* বিদ্যুৎ সুইস সাথে সাথে বন্ধ করা সম্ভব নাহলে, শুকনো মোটা কাগজ,উলের কাপড় ,শুকনো কাঠের টুকরা অথবা রাবার দিয়া বিদ্যুৎ পিষ্ঠ ব্যাক্তিকে বৈদ্যুতিক উৎস থেকে আলাদা করতে হবে।
* ধাক্কা দেওয়া এবং সুইস বন্ধ করা সম্ভব না হলে দ্রুত বৈদ্যুতিক অফিসে খবর দিতে হবে।
* কারেন্ট শক ব্যাক্তির শ্বাস বন্ধ হলে কৃত্তিম শ্বাস দেয়ার ব্যাবস্থা করতে হবে, যতক্ষন না তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যাবস্থা করতে হবে।
* বিদ্যুৎ পিষ্ঠ ব্যাক্তির শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকলেও তাকে অন্তত এক ঘন্টা চুপ করে শুয়ে বিশ্রাম নিতে হবে।
সতর্কতাঃ
শক ও তার প্রতিকার এবং যেভাবে সাহায্য করতে হবে বা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে –
> ভেজা শরীরে বা হাতে বৈদ্যুতিক যন্ত্র পাতি ধরা যাবে না।
> ভেজা জায়গায় দাঁড়িয়ে বিদ্যুতের কাজ করা যাবেনা।
> বৈদ্যুতিক কাজ করার সময় অবশ্যই রাবারের জুতা পরে নিতে হবে।
> বৈদ্যুতিক মেইন সুইস বন্ধ করে কাজ করতে হবে।
ইলেকট্রিক শক ট্রিটমেন্ট ও প্রাথমিক চিকিৎসা –
হৃদগতি বেড়ে গেলে শীঘ্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। আর ইলেকট্রিক শক খেয়ে রোগীর হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গেলে তাঁকে তৎক্ষণাৎ সিপিআর দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এক্ষেত্রে বুকের মাঝ বরাবর চাপ দেওয়ার পর আক্রান্তের মুখে মুখ লাগিয়ে ফুঁ দিতে হয়। এভাবেই তাঁর প্রাণ বাঁচতে পারে।