সর্দি কাশি সাধারণত রোগ প্রতিরোধক সিস্টেমের একটি অংশ। এই দুটি অসুস্থতা মূলত আপেক্ষিক এবং ভাইরাস স্বাস্থ্যসম্পর্কিত হয়ে থাকে।
কারণ
সর্দি কাশি হলো নাকের শল্য যা মুখের এবং নাকের পারদায় বাসা করে, সাধারণভাবে যোগদান বা গ্রীষ্মকালে দেখা যায়। এটি অধিকাংশই সাধারণ ঠান্ডা বা আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। এটা সাধারণত ভাইরাস দ্বারা হয়ে থাকে,তবে ব্যাকটেরিয়া দ্বারাও সেকেন্ডারি ইনফেকশন হতে পারে।
রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ (symptoms and signs)
- হঠাৎ করে শুরু হয়,নাক চুলকায় /জ্বলে এবং হাঁচি পড়তে থাকে।
- গা মেজ মেজ করে,গলাব্যথা,অল্প অল্প জ্বর থাকে।
- নাক দিয়ে অনর বত পানি পড়তে থাকে।
- মাথা ভার হয়।
- সঙ্গে যদি ব্যাকটেরিয়া সংক্ৰমন থাকে তবে – সব সময় জ্বর থাকে , পাকা সর্দি আসে , মাথা ব্যাথা,কান ব্যাথা ইত্যাদি হয়।
- জটিলতা,যেমন :সাইনুসাইটিস,কানের প্রদাহ হতে পারে।
প্রতিরোধ (prevention )
শিশুর সর্দি কাশির প্রতিকার বা প্রতিরোধের উপায় নিয়ে কিছু পরামর্শ নিম্নে দেওয়া হল:
- হাত ধুয়ে থাকুন: শিশুর সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা হল হাত ধুয়ে থাকা। আপনি এবং আপনার শিশুর হাত সময় সময় ধুয়ে নিন, বিশেষভাবে খাবার খাওয়ার পূর্বে এবং খাবার পরে।
- শিশুর সাথে নিয়মিত মাস্ক পরা নেয়া: যখন শিশু বাইরে বের হয়, তখন মাস্ক পরা উপদেশ দিন এবং মাস্ক পরা রয়েছে সেটি নিশ্চিত করুন।
- সকালের পর বা বেড়াতে যাবার আগে শিশুর নাক দেখভাল করুন: প্রতিদিন সকালের পর এবং বেরোনোর পর শিশুর নাক সাফ করুন। এটি সর্দি বা কাশি এবং ভাইরাস প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
- শিশুকে সুস্থ্য খাবার দিন: শিশুর খাবারে সমৃদ্ধ ঔষধির যোগ করা হওয়া উচিত, যাতে তাদের শরীর স্বাস্থ্যকর এবং সর্দি কাশির বিরুদ্ধে সাহায্য করে।
- টিকা (ভ্যাকসিন্ )
চিকিৎসা (treatment)
সর্দি কাশির ঔষধের নাম ও চিকিৎসা সমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো –
ট্যাব প্যারাসিটামল (paracetamol) মাথা ব্যাথা বা জ্বর থাকলে।
Nasl decongestant বা নাকের ড্রপ। নাক বন্ধ হলে ,কয়েক দিনের জন্য।
এলার্জির ক্ষেত্রে এন্টিহিসমিন ব্যাবহার করতে হবে।
যদি ব্যাকটেরিয়া সংক্ৰমন হয় তবে Antibayutic ব্যাবহার করা।
শিশুর সর্দি কাশি অথবা শীতকালিন একটি সাধারণ সমস্যা, যা সাধারণভাবে শিশুদের সর্দি এবং কাশি এর লক্ষণ দেখা দেয়।
শিশুর সর্দি কাশির প্রতিরোধ করার উপায় নিম্নলিখিত কিছু পরামর্শ মেনে চলা যেতে পারে: