অ্যামেনোরিয়া কি- প্রজননক্ষম নারীদের মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়াকে অ্যামেনোরিয়া বলা হয়ে থাকে। সাধারণত মেয়েদের ৮ থেকে ১৮ বছরের মধ্যবর্তী সময়ে প্রথম মাসিক দেখাদেয়। গড় হিসাবে ১২ বছরের বয়সের মধ্যে অদিকাংশ মেয়েদের মাসিক শুরু হয়ে থাকে। কিন্তু ১৬ বছর হবার পরও মেয়েদের প্রথম মাসিক শুরু না হওয়াকে প্রাইমারি অ্যামেনোরিয়া বলে। 

Secondary amenorrhea,অন্য দিকে নিয়মিত মাসিক থাকা অবস্থায় কোন মেয়ের পরপর তিন অথবা ততোধিক বার মাসিক না হলে সেটাকে সেকেন্ডারি অ্যামেনোরিয়া বলে।  সাধারণত গর্বাবস্থা ও দুগ্দ্ধপানের সময় এই লক্ষণ দেখাদেয়। মেনোপজের পরেও মহিলাদের মাসিক হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। 

অ্যামেনোরিয়া হলে কিভাবে বুঝবো অথবা মাসিক নিয়েও কিছু টিপসঃ 

  • নারীদের প্রজনন প্রক্রিয়ার কার্য্ক্রম শুরু হয় সাধারণত ১০-১৬ বছরের মাঝামাঝি বয়সে। 
  • কোন কোন মেয়েদের ৯ বছর বয়সে,আবার কারো কারো ১৬ বা তার অধিক বয়সে প্রথম মাসিক হয়। 
  • বেশিরভাগ মেয়েদেরই ১২ বছর বয়সে মাসিক শুরু হয়। 
  • যখন রজঃনিবৃত্তি বা মেনোপজল হয় তখন মহিলাদের এই মাসিক স্বাভাবিক ভাবেই বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত ৫০ বছর বা অধিক বয়সে মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। 

অ্যামেনোরিয়ার কারণ 

অ্যামেনোরিয়ার কারণ গুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো। 

  • মূত্রথলিতে ইনফেকশন হলে। 
  • অনিয়মিত মাসিক হলে। 
  • গর্ভে সন্তান আসলে। 
  • শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমলে বা অতিরিক্ত মোটা হলে। 
  • হরমোন জনিত সমস্যা থাকলে। 
  • পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম থাকলে। 
  • প্রজনন অঙ্গে কোন ধরণের শারীরিক সমস্যা থাকলে। 
  • শরীরে প্রয়োজনের চেয়ে কম ফ্যাট বা চর্বি থাকলে। 
  • হঠাৎ করে এবং দ্রুততার সাথে ওজন কমতে থাকলে মাসিক বন্ধ হয়ে থাকে। 

 চিকিৎসা (treatment)

কারণের উপর ভিত্তি করে অ্যামেনোরিয়ার চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে। উদাহরণ স্বরূপ -হরমোন চিকিৎসা দ্বারা পিসিওস অধিকাংশ সময়ে নিয়ন্ত্রণ করাযায়। 

হাইপোথ্যালামিক অ্যামেনোরিয়ার চিকিৎসা এর ক্ষেত্রে ব্যায়ামের পরিমান কমিয়ে,স্বাস্থকর ওজন অর্জনের মাধমে মাসিক নিয়মিত করণ করা হয়।

  • কিছু ক্ষেত্রে,মাসিক পুনরায় নিজে থেকে শুরুহয় কি না তা দেখার জন্য অপেক্ষা করা হয়। 
  • কিছু কিছু সময়ে চিকিৎসা গ্রহণের পরও মাসিক নিয়মিত ভাবে নাও হতে পারে।,কেননা মাসিক না হওয়ার পিছনে সাধারণত প্রিম্যাচিউর ওভারিয়ান ফেইলর দায়ী থাকে। 

অ্যামেনোরিয়ার জন্য কিছু পরামর্শ 

  • যেহেতু অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম ও স্বল্প পরিমানে খাদ্য গ্রহণের কারনে অ্যামেনোরিয়া হতে পারে, তাই কাজ করা ও বিশ্রাম গ্রহণের মধ্যে সমন্নয় রক্ষা করে চলুন। 
  • মানসিক চাপ ও দন্দ্ব থাকলে সেগুলি কমানোর চেষ্টা করুন। যদি নিজে থেকে না কমাতে পারেন, তাহলে এ বেপারে পরিবার,বন্ধু ও চিকিৎসকের সাহায্য নিন। 
  • ঋতুচক্রের পরিবর্তনের দিকে খেয়াল রাখুন। এ ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হলে  চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 
  • প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন ও নিজেকে ঠান্ডা রাখুন। 
  • শারীরিক ও মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলুন।