এনজিনা কি

এনজাইনা পেক্টোরিস ক্ষণস্থায়ীভাবে রিদপিন্ডের মাংসপেশির রক্তসঞ্চালন কমে গেলে যদি অসাচ্ছন্দ বোধহয় তাকে আমরা এনজিনা নামে অভিহিত করি। করোনারি ধমনীর সঙ্কোচনের ফলে এরূপ হয়। হার্টের মাংসপেশি সমূহের রক্ত চলাচল বন্ধহয়ে যাওয়াকেই হার্ট এটাক বলা হয়। 

বুকের মাঝখানে ব্যথার কারণ কি

এনজাইনা পেক্টোরিস (ইংরেজি: Angina Pectoris) একটি কর্ডিওভাসকুলার রোগ যা মানবের হৃদপিন্ড মাংশপেশীতে অধিক প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পৌঁছানোর সময় হৃদপিন্ডের একাধিক শিরাস্ত্রঙ্কে কম অক্সিজেন পৌঁছে স্থানীয় পীড়ন এবং জটিলতা সৃস্টি করে। এটি সাধারণভাবে হৃদপিন্ডের মাংশপেশীতে আর্টেরি স্টেনোজিস (artery stenosis) বা চোখের আতত চক্ষু (atherosclerotic plaque) দ্বারা সাদা আগুনের সাথে মিলে থাকে। এনজাইনা পেক্টোরিস সাধারণ ভাবে স্থায়ী হতে পারে এবং অস্থায়ীও হোতে পারে, যদি আপনি শারীরিক কাজে বা মানসিক চাপের কারণে বেশি প্রয়াস করেন অথবা থাকেন।

করোনারি ধমনীর অসুখ বা হার্ট এটাক ২ প্রকার।

  • .এনজিনা পেক্টোরিস(angina pectoris)
  • .মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (myocardial infarction)

১)স্থির প্রকৃতির এনজিনা:মায়োকার্ডিয়াল ইস্কেমিয়া বা রিদপেশীতে রক্তসল্পতা বসত সৃষ্ট এনজিনা যা সাধারণ কাজের মাজে যেমনঃ হাঁটাচলা বা দৌড়ানোর প্রাক্কালে দেখাযায় এবং বিশ্রাম কালে তেমন কোন লক্ষণ দেখা যায়না। 

২)অস্থির প্রকৃতির এনজিনা:এই প্রকারের এনজিনাকে ক্রিসেভু  এনজিনা নামেও অভিহিত করাহয় যা একিউট করোনারি সিনড্রম হিসাবে ব্রিবত। এই শ্রেণীর এনজিনাতে নিম্নের ৩টি লক্ষণের মদ্দে যেকোন একটি থাকবেই 

 ক) বিশ্রামকালে আক্রমন হয় 

 খ) সচরাচর কোন লক্ষণ থাকেনা 

 গ) ১০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। 

হঠাৎ বুকে ব্যথা হলে করণীয়

     বুকের  মাঝখানে ব্যাথা এবং এটা ছড়াতে পারে বাম বাহুর ভিতরের দিকে, কুনুই হতে কব্জি পর্যন্ত হাতের অংশে তালোতে ব্যাথা, ডান হাতেও হতে পারে।

ব্যাথাটা চেপে ধরা ব্যাথা ৫ মিনিটের বেশি থাকেনা এবং বিশ্রাম নিলে বা জিব্বার নিচে গ্লিসারিন ট্রাইনাইস্টেট দিলে ব্যাথা কমেযায়। 

অ্যানজাইনার ব্যাথার সময় অন্যান্ন লক্ষণ

   .নাড়ীর স্পন্দন বেড়েযায় 

   .ফ্যাকাশে হয়ে যায় 

   . ঘামতে থাকে 

   .উচ্চরক্তচাপ থাকতে পারে 

হঠাৎ বুকে ব্যথা হলে চিকিৎসা 

এনজাইনা পেক্টোরিসের প্রাথমিক চিকিৎসা অক্সিজেনের সরবরাহ বা হৃদয়ের কাজের আচরণ বা স্বাস্থ্য শৃঙ্গের পরীক্ষা সংক্রান্ত হতে পারে। এই অবস্থাটি সম্পর্কিত চিকিৎসকের সাথে আপনার চিকিৎসা পরিচালনা করা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে এবং অনেক সময় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের প্রয়োজন হতে পারে।

ধূমপান করা যাবেনা 

প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করতে হবে 

খুব ভারীকাজ ,খুব বেশি চর্বিযুক্ত খাবার নিষেদ 

ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে