এমোক্সিসিলিন একটি বিস্তৃত বর্ণালীর এন্টিবায়োটিক যা গ্রাম পজেটিভ ও গ্রাম নেগেটিভ জীবাণুর বিরুদ্বে কার্যকর। এটি এম্পিসিলিনের চেয়ে দ্রুত এবং সম্পূর্ণ রূপে শোষিত হয়। ইহা ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর সংশ্লেষনে বাধা দিয়ে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।

এমোক্সিসিলিন এর কাজ কি

শ্বাসতন্ত্রের সংক্ৰমন :সাইনুসাইটিস,টনসিলাইটিস,ফ্যারিনজাইটিস,ওটাইটিস মিডিয়া,ল্যারিংয়টিকে ,নিউমোনিয়া,ফুসফুসের ফুরা ও ব্রঙ্ক্রেটিস।

পরিপাক তন্ত্রের সংক্ৰমন : টাইফয়েড ও প্যারাটাইফয়েড।

জনন মূত্রনালির সংক্ৰমন : পাইলোনেফ্রাইটিস,সিস্টাইটিস,ইউরেথ্রাইটিস,গনোরিয়া।

ত্বক ও নরম কুষকলার সংক্ৰমন:সেলুলাইটিসি,সংক্ৰমিত ক্ষত,বিষব্রণ,স্ফূটকি।

 এন্ড্রুকরাইটিস ,সেফ্টিসেমিয়া ,অস্রপাচার পরবর্তী সংক্ৰমন ইত্যাদি।

এমোক্সিসিলিন খাওয়ার নিয়ম

প্রাপ্ত বয়স্কদের মুখে সেবনীয় 
   ২৫০মিঃ গ্রামঃ দিনে তিনবার ,যদি সংক্ৰমণ তীব্র হয় তবে ৫০০ মিঃ গ্রামঃ দিনে তিনবার। সর্বোচ্চ অনুমোদিত সেবন মাত্রা ৬ গ্রামঃ বিভক্ত মাত্রায়।
তীব্র অথবা পুঁজ সম্বলিত শ্বাসতন্ত্রের পুনঃসংক্ৰমণ : ৩ গ্রামঃ প্রতি ১২ ঘন্টা অন্তর।
মূত্রনালির সংক্ৰমণ : ১০ থেকে ১২ ঘন্টা ব্যাবধানে ৩ গ্রামঃ করে দুই বার ১ দিন সেবন।
দাঁতের পুঁজ সম্বলিত ফোড়ায় : ৮ ঘন্টা ব্যাবধানে ৩ গ্রামঃ করে দুই বার ১ দিন সেবন।
এমোক্সিসিলিন শিশুদের মুখে সেবনীয়  
   ১২৫ মিঃ গ্রামঃ দিনে তিনবার ,যদি সংক্ৰমণ তীব্র হয় তবে ২৫০ মিঃ গ্রামঃ দিনে তিনবার। ২ বছরের নিচের শিশুদের মুখে সেবনীয় মাত্রা ৬২.৫ মিঃ গ্রামঃ থেকে ২৫০ মিঃ গ্রামঃ দিনে তিনবার।
মধ্যকর্ণের প্রদাহে : ৭৫০  মিঃ গ্রামঃ দিনে ২ বার দুই দিন পর্যন্ত।
ঔষদের গায়ে অথবা নীফলেটে ভালোভাবে দেখে নিন। 

এমোক্সিসিলিন ইনজেকশন এর নিয়ম

প্রাপ্ত বয়স্কদের সাধারণ সংক্রমণের ক্ষেত্রে সচরাচর ২৫০ মিঃ গ্রামঃ থেকে ৫০০ মিঃ গ্রামঃ মাংসপেশিতে ৮ ঘন্টা পর পর। প্রয়োজনে ঔষদের মাত্রা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়ানো যেতে পারে। মারাত্বক ধরনের সংক্রমণের ক্ষেত্রে ৫০০ মিঃ গ্রামঃ থেকে ১ গ্রাম শিরা পথে ছয় ঘন্টা পর পর।

এমোক্সিসিলিন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

সাধারণত মৃদু ক্ষণস্থায়ী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লেখকরা যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া,বদহজম,ত্বকে রেস।

এমোক্সিসিলিন এর প্রতিনির্দেশনা ও সতর্কতা

  পেনিসিলিনের প্রতি অতি সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে ও গ্লান্ডুলার ফিভারে আক্রান্ত রোগীদের এটি দেওয়া উচিত নয়।
  বৃক্কর অকার্যকারিতার ক্ষেত্রে শরীর থেকে এন্টিবায়টিক নির্গমন নিলম্বিত হয় বলে ঔষধটির দৈনিক মাত্রা কমানোর প্রয়োজন হতে পারে।