কিডনির পাথর কি?

কিডনির পাথর, অন্যথায় ইউরোলিথিয়াসিস নামে পরিচিত, ক্যালসিয়াম এবং লবণের মতো খনিজ পদার্থ দিয়ে তৈরি ছোট, শক্ত জমা। যখন এই খনিজ এবং লবণগুলি সময়ের সাথে সাথে আপনার কিডনির দেয়ালে তৈরি হয়, তখন তারা পাথর হয়ে যায় যা কিডনিতে থাকে বা প্রস্রাবের মাধ্যমে চলে যায়। এই পাথর পাস খুব বেদনাদায়ক হতে পারে। মূত্রতন্রের যত রোগ আছে তারমদ্দে পাথর জনিত রোগ বেশি। প্রতি ২০ জনের মধ্যে একজন কিডনির পাথরে ভোগে। পাথর আকারে লবণের দানা শুরু করে টেনিস বল পর্যন্ত হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রুগী ডাক্তারের কাছে আসার আগেই ছুটপাথর গুলো পস্রাবের মাদ্ধমে বাহির হয়ে আসে। কিন্তু যেগুলো উপসর্গ দেখাদেয় তাদের চিকিৎসা নিতে হয়। এখন পাথর হওয়া প্রতিরোধ করাও সম্ভব। 

 

কিডনির পাথর এর কারণ

প্রস্রাবে পানি,লবন ও খনিজ পদার্থের সঠিক ভারসাম্ম বজায় না থাকলে কিডনিতে পাথর হয়। ভিবিন্ন কারনে আমাদের পস্রাবের উপাদানের এই ভারসাম্ম নষ্ট হতে পারে। যেমন:

  • প্ৰায়জনের চেয়ে কম পরিমানে পানি পান করা। 
  • মাত্রাতিরক্ত আমিষ /প্রোটিন সম্মৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা। 
  • অতিরিক্ত খাবার লবন গ্রহণ করা। 
  • অতিরিক্ত অক্সালেট সম্মৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা। 
  • শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্তণ করতে না পারা। 
  • অনিয়মিত উচ্চরক্তচাপ অথবা বাতের ব্যাথা কিংবা মূত্রাশয়ের প্ৰদাহের উপযুক্ত চিকিৎসা না করা। 

কিডনির পাথর এর লক্ষণ

মূত্রথলিতে না জাওয়া পর্যন্ত কিডনিতে পাথর হয়েছে বুজাযায় না। কিডনিতে পাথর হলে সাধারণত যে সমস্ত উপসর্গ দেখাদেয় তা হলো :

পিঠে, দুই পাশে এবং পাঁজরের নিচে ব্যাথা হওয়া। তলপেটে ও কুঁচকিতে ব্যাথা ছড়িয়ে পড়া। 

পস্রাব ত্যাগের সময় ব্যাথা হওয়া। 

পস্রাবের রঙ লাল বা গুলাপি অথবা বাদামি হওয়া। 

ঘন ঘন পস্রাবের বেগ হওয়া। 

যদিকোন সংক্ৰমন হয়ে থাকে তবে জ্বর এবং কাপুনি হওয়া। 

ভমি ভমিবাব ও ভমি হওয়া। 

 

কিডনির পাথর এর প্রতিরোদের উপায়

প্রতিরোদের জন্য নিচের উপায়গুলো অনুসরণ করাযায় :

  • ১, প্রচুর পরিমানে পানি পান করা। প্রতিদিন প্রায় ৩/৪ লিটার পানি পান করা। যারা ভিবিন্ন কারখানায় কাজ করেন ,যেখানে প্রচুর ঘাম হয় তাদের আরও বেশি পানিপান করা। মনে রাখতে হবে পস্রাবের রঙ যেন পানির মত হয়। 
  • ২,যাদের কিডনিতে একবার পাথর ধরা পড়েছে , তাদের ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। 
  • ৩,মাংস , মাছ এবং পোল্টি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। 
  • ৪,খাবারের সাথে অতিরিক্ত লবন খাওয়া যাবেনা।

কিডনির পাথর এর চিকিৎসা

এক্সট্রা করপোরিয়াল শক ওয়েব লিথোট্রিপসি 
পি সি এন এল 
উরেটেরোস্কোপিক পদ্ধতি ও 
ল্যাপারোস্কপিক পদ্ধতি। 
(অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে )