কিডনি ফেইলিউর , কিডনির কাজ হচ্ছে দেহে উৎপন্ন বিপাক/বর্জ্য বা দূষিত পদার্থকে নিষ্কাশন করা,যার অন্নতম হল ইউরিয়া। এছাড়া শরীরে পানি ও ক্ষারের ভারসম্ম বজায় রাখা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখাও কিডনির কাজ

কিডনি ফেইলিউর কি – কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট হওয়াকে কিডনির বৈকল্য বা কিডনি ফেইলিউর বলা হয়।

এই রোগটি তিনটি পর্যায়ে রয়েছে :

  1. আকস্মিক কিডনি বৈকল্য (Acut kidney failure)
  2. ধীরগতি কিডনি বৈকল্য (Chrunic kidney failure)
  3. চুরান্ত কিডনি বৈকল্য (end -stage renal failure)

রোগের প্রকারভেদ (Classification )

রেনাল ফেইলিউর দুই প্রকের ,যথা :

কিডনি ফেইলিউর কারণ (causes )

কিডনি যখন স্বাভাবিক কাজ করতে পারে না তখন শরীরের বর্জ  এবং অতিরিক্ত পানি জমতে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত কারণের জন্য কিডনি বৈকল্য হয়ে থাকে

  • উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তনালীর সমস্যার কারন
  • ডায়াবেটিস ও কিছু ঔষধ
  • কিডনিতে আঘাত এবং রাসায়নিক পদার্থ।
  • সংক্ৰমন ও জর্ম্মগত ত্রুটি

 রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ (symptoms and signs)

কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ – কিডনি রোগীর সাধারনত বমির ভাব এবং বমি হয়। তাছাড়া অন্যান্ন লক্ষণ সমূহ রোগের পর্যায় ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।

  •   আকস্মিক রেনাল ফেইলিউর: পস্রাবের পরিমান কমেযাওয়া ,ঝিমুনি,মাথা ব্যাথা,পিঠে ব্যাথা হতে পারে।
  •   ধীরগতি রেনাল ফেইলিউর:দুর্বলতা অনুভব,ক্ষুধামন্দা,ঘন ঘন পস্রাব হওয়া ,বিশেষ করে রাতের বেলায় ,ফ্যাকাসে ,চুলকানি,চামড়ায় সহজেই ক্ষত হওয়া ,দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস,অবিরাম হিক্কা,মাংসপেশির সংকোচন ,হাত-পায়ে পিন ফোটানো অনুভূতি,এমনকি হাত-পায়ে খিঁচুনি হতে পারে।
  •    চুরান্ত রেনাল ফেইলিউর:পস্রাবের পরিমান অত্যন্ত কমেযাওয়া ,মুখমন্ডল,পা এবং পেট ফোলা,প্রচন্ড দুর্বলতা ,মাথা ব্যাথা ,চামড়ায় অতিরিক্ত চুলকানি। এ পর্যায়ে রোগীকে ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া বাঁচানো সম্ভব হয়না।

চিকিৎসা (treatment)

সাধারণত একিউট রেনাল ফেইলরে কিডনির কার্য কারিতা আবার ফিরে আসে কিন্তু ক্রনিক রেনাল ফেইলরে তা হয়না এবং আস্তে আস্তে লাস্ট স্টেজ এ পরিণত হবার সম্ভাবনা থাকে।

তাই এ ধরনের রোগ দেখা দিলে অবশ্বই ডাক্তার দেখতে হবে।

শিরায় এন্টিবায়োটিক বা জীবাণু নাশক ব্যাবহার করতে হবে।

অন্নান্য ঔষধ প্রয়োজন অনুসারে ব্যাবহার করতে হবে।

যখন রেনাল ফেইলর স্থিতিতে আসে তখন কারন অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে।

যদি উপরুক্ত চিৎসায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসে তবে ডায়ালাইসিস এর ব্যাবস্থা করতে হবে।