নাকের পলিপাস,নাকে মিউকাস মেমব্রেন অধিক বৃদ্ধি পেলে বা তাতে জলীয় পদার্থ অধিক মাত্রায় জমলে মেমব্রেন হতে আঙ্গুর ফলের মতো বস্তু প্রলম্বিত হয় তাকে নেজাল পলিপ বলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নাকের সম্পূর্ণ ভাগে এটি হয়ে থাকে। এটি এক সঙ্গে একের অধিক হয়ে থাকে। নাকের ছিদ্র পথের পিছন দিক দিয়েও পলিপ বের হতে পারে। এ ধরনের পলিপ কে কোয়ানাল পলিপ (choanal polyps)বলে। 

নাকের পলিপাস অতি পরিচিত একটি সমস্যা। কিন্তু নাক বন্ধ থাকা মানেই নাকের পলিপ আছে এমন ধারনা ঠিক নয়। অনেক সময় নাক বন্ধ অবস্থায় এর মধ্যে পিণ্ডাকৃতির কিছু দেখলেই অনেকে তা পলিপ বলে মনে করে। নাকের পলিপ অনেকটা পিণ্ডাকৃতিই হয়ে থাকে ,তবে সব ধরনের পিণ্ডই কিন্তু পলিপ নয়। পলিপের রং কখোনই মাংসপিন্ডের মত লাল হয়না। পলিপ আঙ্গুরের দানার মত ফ্যাকাসে রঙের মত হয়

কারণ (Causes )

নাকের পলিপাস কেনহয় এটি এখনো অজানা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এলার্জি জনিত কিংবা দীর্ঘমেয়াদি নাক ও সাইনাসের প্রদাহই এর প্রদান কারণ। এক তৃতীয়াংশ রোগীর ক্ষেত্রে সঙ্গে হাঁপানিও থাকে। দুই শতাংশ ক্ষেত্রে ঋতু পরিবর্তন জনিত এলার্জি দায়ী। 

রোগের প্রকারভেদঃ (Types of diseases)

নাকের পলিপ দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ 

  • ইথময়ডাল (Cthumoidal)পলিপ :এলার্জির কারণে হয়,দুই নাকে হয় এবং মধ্যম বয়সে দেখা যায়। 
  •  এন্ট্রোকোয়ানাল(Enterochoanal)পলিপ:ইনফেকশনের কারনে হয়,এক নাকে হয় এবং শিশু কিশোরদের বয়সে দেখাযায়। 

 

রোগের লক্ষণ ও উপসর্গঃ (Signs and symptoms)

  1. নাক বন্ধ থাকা , এক বা দুই নাসান্দ্র একসাথে বন্ধ থাকতে পারে।
  2. নাকদিয়ে পানি পড়া ও বেশি হাঁচি পাওয়া।
  3. নাকে কোন গন্ধ না পাওয়া ও মাথা ব্যাথা থাকে।
  4. নাকিসুরে কথাবলে ও মূখ হা করে ঘুমায়।

প্রতিরোধ(prevention )

এলার্জি দূর করতে যা করণীয় তাকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করতে পারি। যথা :
  1. ফুড এলার্জি :ফুড এলার্জিকে দূর করতে যা করণীয় টি করতে হবে।
  2. এনভায়রনমেন্টাল এলার্জি: ধুলো বালি,কোল্ড,ধোয়া,ফুলের রেনু ,কসমেটিক এবং সিনথেটিক জিনিস পরিহার করা।
  3. এন্টিএলার্জি ড্র্যাগ:কিছু ঔষধ এলার্জির সৃষ্টি করে।  নিয়মিত সতর্কতার সাথে ব্যাবহার করা যায় তাহলে দেখাযায় যে এ রোগের প্রাদুর্ভাব অনেক কমে যায়।

চিকিৎসা (treatment)

নাকের পলিপের চিকিৎসা হলো অপারেশন। অপারেশন করলে সাধারণত এ সমস্যা দূর হয়ে যায়। তবে এই পলিপ বারবার হতে পারে এবং প্রয়োজন বোধে কয়েকবার অপারেশন করন লাগতে পারে। এলার্জি থেকে দূরে থাকলে এ রোগ থেকে দূরে থাকা যায়।