পোড়া ও জলসানু আমাদের জীবনে একটি সাধারণ দুর্ঘটনা। পুড়ে যাওয়ার সমস্যা এখন হামেশাই দেখা যায়। সামান্য অসতর্কতার কারন এ ধরনের দুর্ঘটনার সম্মখিন হ্ত হয়। সাধারণত রান্নার চুলা ,গরম পানি , গরম চাই ,ইস্ত্রি ,গরম করার যন্ত্র ইত্যাদির মাদ্দমে হয়ে থাকে। মাঝেমাঝেই মানুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত হন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ বুঝতেও পারেন না ঠিক কী করতে হবে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই পোড়া সমস্যা নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
এবার পোড়ার ক্ষেত্রে মানুষকে বিশেষভাবে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। কারণ পোড়া (Burn) জায়গার ঠিক সময়ে চিকিৎসা (Burn Treatment) না করতে পারলে বড়সড় সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়গুলি নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।

এবার এই প্রসঙ্গে কলকাতার ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: রুদ্রজিৎ পাল বলেন, আসলে পোড়া বিষয়টিকে মানুষ খুবই হালকাভাবে নেয়। তবে বিষয়টি কিন্তু এতটাও সহজ নয়। এক্ষেত্রে অনেক সমস্যাই দেখা দিতে পারে শরীরের কোনও একটি অংশ পুড়ে গেলে।তিনি আরও বলেন, আসলে পোড়া (burn) ও জলসানু র অংশটিকে অনেকভাগেই ভাগ করা যায়। এক্ষেত্রে শরীরের কোন অংশে পুড়েছে, কতটা পুড়ছে, এই বিষয়গুলির উপর নির্ভর করে অনেক বিষয় বিচার করা হয়। আর এটা কোনও সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া উচিত।


​কী কী সমস্যা হতে পারে?


এক্ষেত্রে শরীরের অনেকটা জায়গা পুড়ে গেলে ব্যথা, ফোসকা পড়তে পারে। এছাড়া শরীর থেকে অনেকটা প্রোটিন বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হয়ে যেতে পারে। এছাড়া ইনফেকশনের (Infection) আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। তবেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

পোড়া (burn) বাড়িতে চিকিৎসা

এক্ষেত্রে একটা সহজ নিয়ম মেনে চলতে হয়। আসলে শরীরের কোনও একটি অংশে একটি কয়েনের মতো জায়গা পুড়ে গেলে আপনি বাড়িতেই এর চিকিৎসা (Burn Treatment at Home) করে নিতে পারেন। এর থেকে বড় জায়গা পুড়ে গেলে অন্তত একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন। তবেই ভালো থাকতে পারবেন। প্রথমে জায়গাটা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। পারলে ঠান্ডা জলে ভালো করে ধুয়ে নিন। তবে ঠান্ডা জলের বন্দোবস্ত না করতে পারলে আপনি অনায়াসে স্বাভবিক তাপমাত্রার জল ব্যবহার করতে পারেন। এবার ধোয়া হয়ে যাওয়ার পর সেই জায়গায় লাগিয়ে ফেলতে হবে অ্যান্টিবায়োটিক মলম। বাড়িতে থাকা যে কোনও অ্যান্টিবায়োটিক মলম আপনি ব্যবহার করতে পারেন। এটাই হল বাড়িতে চিকিৎসা পদ্ধতি (Burn treatment at Home)। এভাবেই কয়েকদিনের মধ্যে সমস্যা কমে যেতে পারে।

 

কয়েকটি ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া শ্রেয়-

১. শরীরের অনেকটা অংশ পুড়ে গিয়েছে,

২. মুখে কোথাও পুড়ে গিয়েছে,

৩. বাজি বা এই জাতীয় কোনও পদার্থ থেকে কেমিক্যাল বার্ন হলেও হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করতে হয়। কারণ এই ধরনের কেমিক্যাল বার্ন থেকে ইনফেকশনের আশঙ্কা থাকে বেশি।

তবে মনে রাখবেন, হাসপাতালে ভর্তি করতে হলেও, বেশিরভাগ মানুষ ভালো হয়ে যান। তাই অতিরিক্ত চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। বরং দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে। তবেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

আরোও কিছু জরুরি তথ্য