প্যারাসিটামল কি?

প্যারাসিটামল একটি পরীক্ষিত বেদনানাশক এবং জ্বর নিবারক উপাদান। এ ঔষধ পেইন থ্রেশহোল্ড বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাথানাশক কার্যকারিতা ও হাইপোথালমিক হিট রেগুলেটিং সেন্টারের উপর কাজ করে জ্বর নাশক কার্যকারিতা পদর্শন করে। ধারণা করা হায়যে, এসব কার্যকারিতা প্রোষ্টগ্ল্যান্ডিন সংশ্লেষনে বাধাদানের সাথে সম্পর্কিত।

জ্বর নিবারক এবং বেদনা নাশক হিসাবে প্যারাসিটামল এসপিরিনের সমতুল্য কিন্তু এসপিরিন বা এসপিরিন সম্বলিত ঔষদের মত পার্শ্ব প্রুতিক্রিয়া নাই। এ ঔষধ মুখে সেবনের পর দ্রুত ও সম্পূর্ণ ভাবে শোষিত হয়

প্যারাসিটামল এর কাজ কি

ইনফ্লুয়েঞ্জা,মাথা ব্যাথা,দাঁত ব্যাথা,কান ব্যাথা,স্নায়ুর গোলযোগ জনিত ব্যাথা ,মাসিক স্রাবের সময় ব্যাথা,অপেক্ষাকৃত কম তীব্র বাতের ব্যাথায়,সাময়িক প্রশান্তির জন্য ও জ্বর নিবারক হিসাবে ব্যাবহার হয়।

প্যারাসিটামলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুব নাই বললেই চলে। কখনো কখনো স্কিন রেশ ও অন্যান্ন এলার্জি জনিত প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত মাত্রা যকৃতে বিষক্রিয়া ঘটতে পারে। যকৃতে বিষক্রিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ হলো বমি এবং অসস্থি ভাব।
যকৃত ও বৃক্কে তীব্র অকার্যকারিতায় এবং প্যারাসিটামলের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের দেয়া উচিত নয়

প্যারাসিটামল বেশি খেলে কি হয়

যকৃত ও বৃক্কেসমস্যা রয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে এ ঔষধ সতর্কতার সাথে ব্যাবহার করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যাথার জন্য ১০ দিন ও জ্বরের জন্য ৩ দিনের বেশি সেবন না করাই উচিত।

প্যারাসিটামল খাওয়ার নিয়ম

 প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য (Paracetamol) জ্বর এবং ব্যথা এর সাধারণ ডোজ প্রতি ৮ ঘন্টায়  একবার ৫০০ মিঃগ্রাঃ করে। অর্থাৎ ৫০০ মিঃগ্রাঃ করে দিনে তিন বার। এটা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন দ্বারা নির্দেশিত করা হয় এবং নির্ধারিত ডোজ অতিক্রম না করা পরামর্শ দেওয়া হয়।

শিশুদের প্যারাসিটামল খাওয়ার নিয়ম

বয়স ২ মাস (টিকা দেওয়ার পরে আসা জ্বর কমাতে) আধা চা চামচ ৬০ দিনে ৩বার
বয়স ৩ মাস–১ বছরের আগ পর্যন্ত আধা থেকে ১ চা চামচ দিনে ৩বার।
বয়স ১–৫ বছর ১ থেকে ২ চা চামচ করে দিনে ৩বার।
বয়স ৬–১২ বছর, ২ থেকে ৪ চা চামচ করে দিনে ৩বার।
এক ডোজ প্যারাসিটামল খাওয়ানোর কমপক্ষে চার ঘন্টা পরে পরবর্তী ডোজ খাওয়ানো যাবে।

প্যারাসিটামল ট্যাবলেট সতর্কতা:

যেকোনো ওষুধ সেবন করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

এ -জাতীয় ওষুধ কেনার আগে অবশ্যই ওষুধের গায়ে লেখা পড়ে নিন।

প্রত্যেক ওষুধের প্যাকেটে এর উপকরণের নাম ও পরিমাণ লেখা থাকে।

প্যারাসিটামল ও ডি-এল মেথিওনিনের মিশ্রণ বা কম্বিনেশনের ওষুধ এড়িয়ে চলুন।

গর্ব বতি ও স্তন্যদানকরি মায়েদের ক্ষেত্রে :

গর্ব বতি ও স্তন্যদানকরি মায়েদের এ ঔষধ নিরাপদ

সরবরাহ

ট্যাবলেট,সাসপেনশন ,পেডিয়াট্রিক ড্রাপ,সাবজেটরি ও ইনজেকশন পাওয়া যায়।