মাইগ্রেণ বা মাথাব্যথা কি

“মাইগ্রেণ ” শব্দের উৎপত্তি হয়েছে গ্রীক শব্দ “হেমিক্রেনিয়া ” থেকে,যার অর্থ মাথার এক দিকের ব্যাথা। “হেমি” মানে অর্ধেক এবং “ক্রানিয়ন”মানে খুলি,এ থেকেই মাইগ্রেণ বা মাথাব্যথা সৃষ্টি। 

মাইগ্রেণ বা মাথা ব্যথার কারণ কি

মাইগ্রেণ এক ধরনের মাথাব্যথা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাথার একদিকে হয় আবার মাথার দুদিকেও হতে পারে। যাদের মাইগ্রেন হবার প্রবণতা আছে, তাদের শব্দ ,আলো ,গন্ধ ,বাতাসের চাপের তারতম্য ও কিছু খাবার যেমনঃ চকলেট,আঙ্গুর রস ইত্যাদির প্রভাবে পুনরায় ব্যাথা বাড়তে পারে। তবে মাইগ্রেন শুধু মাথাব্যথাই হয়না,তার সাথে আরও কয়েকটি স্নায়বিক উপসর্গ নিয়ে  আসে। উপসর্গ অনুযায়ী মাইগ্রেনের মধ্যেও অনেক ধরন আছে। কারো কারো মতে সেরকম কিছু উপসর্গ না থাকলেও মাইগ্রেণ হয়েছে বলে ধরে নেয়।

মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ

ধারণা করা হয়  মাইগ্রেণ একধরনের নিউরোভাস্কুলার ডিজঅর্ডার। এই সমস্যা মস্তিষ্কে সৃষ্টি হয় বলেই এই ধারণা করা হয় এবং তা ধীরে ধীরে রক্তশিরায় ছড়িয়ে যায়। কিছু গবেষক ধারণা করেন নিউরোনাল বিষয়গুলো ওদিকতর প্রভাব ফেলে আবার কিছু গবেষক ধারণা করেন রক্তশিরাই মূল কারন। আবার কিছু বিজ্ঞানী মনে করেন এ দুই কারণী গুরুত্ত পূৰ্ণ। 

 

 

মাথা ব্যথার কারণ(Causes headaches)

    বেশি চিন্তা করা 

   বেশি কাজ,উচ্চ রক্তচাপ 

   ব্রেন টিউমার,না খেয়ে থাকা,জন্মবিরতিকরন পিল। 

 

 

 

মাইগ্রেণ বা মাথা ব্যথার লক্ষণ 

     ঘুম ঘুম লাগা,গা ম্যাজ ম্যাজ করা বা ক্ষুদা লাগা। 

     দুর্বল লাগা, মাথা ঘোরা, চোখে দেখায় অসুবিদা। 

     মাথা ব্যাথা , চোখের চার দিক দিয়ে ব্যাথা শুরু হয়। ব্যাথাটা খোঁচানো ধরনের,ঘুমের পরে ব্যাথা ভালোহয়। ব্যথা কয়েক ঘন্টা থেকে সারাদিন হতে পারে। 

 

 

 

মাইগ্রেণ বা মাথা ব্যথার চিকিৎসা

*যে কারণে মাথাব্যথা হয় সেটা পরিহার করতে হবে। 

*জন্মবিরতিকরন পিল বাদ দিতে হবে। 

*ঔষদসমূহ : 

ইবুপ্রোফেন (Ibuprofen) দিনে ২ বার অথবা ডাইক্লোফেনাক (Diclofenac) দিনে ২ বার।