Posted On August 6, 2023

মূত্রনালীর প্রদাহ কী ? কেন হয়, লক্ষণ, পরামর্শ ও চিকিৎসা

admin 0 comments
First Aid for Health >> জননতন্ত্র ও মুত্রতন্ত্র >> মূত্রনালীর প্রদাহ কী ? কেন হয়, লক্ষণ, পরামর্শ ও চিকিৎসা

উরেথ্রাইটিস কী ?

মূত্রনালীর প্রদাহকে উরেথ্রাইটিস বলা হয়। এক্ষেত্রে মূত্রনালীর মুখে ব্যাথা অনুভুত হয়। এই ব্যাথা প্রস্রাব করার সাথে সাথেই অনুভুত হয়। সাধারণত প্রস্রাব করা শেষ হয়ে গেলে কারো কারো ব্যাথাও চলেযায়। পুরুষের মূত্রনালীর মূত্র বহন করা ছাড়াও বীর্য্য বহন করাও একটি বাড়তি কাজ। সাধারণত মলদ্বার থেকে জীবাণু মূত্রনালীতে ছড়িয়ে উরেথ্রাইটিস সৃষ্টি হয়। 

মূত্রনালীর প্রদাহ অথবা মূত্রপথের সমস্যা তথা আপত্তিজনক মূত্রপথের লক্ষণ বা সমস্যার উপর বিমর্শ বা চিকিৎসার সাথে সম্পর্কিত সারমর্মের পরিস্থিতি নির্দেশ করে। এই সমস্যা বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে, এমনকি ব্যক্তির জীবনধারার পরিবর্তনের কারণে হতে পারে। মূত্রনালীর প্রদাহ সাধারণ লক্ষণ হতে পারে।

 

মূত্রথলির ইনফেকশন কেন হয়

>গনোরিয়া: এটা এক ধরনের যৌনবাহিত সংক্ৰমণ যা মূত্রনালির প্রদাহ ঘটাতে পারে। 

>নন-গনোকক্কাল উরেথ্রাইটিস: গনোরিয়া ছাড়া অন্য যে কোন কারণে মূত্রনালীর প্রদাহ হলে তাকে নন-গনোকক্কাল উরেথ্রাইটিস প্রদাহ বলাহয়। এতে বেশিরভাগই ক্লামাইডিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়ে থাকে। এটি একধরনের যৌনবাহিত রোগ। এ ধরনের মূত্রনালীর প্রদাহ অন্য ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের কারনেও হয়ে থাকে। আবার কোন প্রকার সংক্ৰমণ ছাড়াও হতে পারে। যেমনঃ মূত্রনালীতে আগাত পেলে বা কোন অপারেশন হলে প্রদাহ হতে পারে। 

মূত্রনালীর সংক্রমণের লক্ষণ

*মূত্রনালীতে ক্ষত ও বেদনা বোধ হয়। 

*প্রস্রাব ত্যাগের সময় প্রচন্ড জ্বালা বোধ হয়। 

*বার বার প্রস্রাব ত্যাগের ইচ্ছা বোধ হয়। 

*প্রস্রাব পরিমানে কম হয়। 

*প্রস্রাবের সাথে পুচ রক্ত যেতে পারে। 

*প্রস্রাবে তলানি পরে থাকে। 

*মূত্রনালীতে কুট কুট করে কামরায়। 

*প্রস্রাব ২/৩ ধারায় বাহির হয়। 

*মূত্রনালীর মুখ লালবর্ন ধারন করা। 

মূত্রনালীর প্রদাহের কারণে যেসব জটিলতা দেখাদিতে পারে তা হলো :  প্রোস্টেটাইটিস,এপিডিডাইমো আর্কাইটিস,পেরিইউরেথ্রাল এবসেস,উরেথ্রাল স্টিকচার,সিস্টাইটিস। 

নন-গনোকক্কাল উরেথ্রাইটিস:

-ডক্সিসাইক্লিন ২০০ মি,গ্রাম। দিনে ২বার ৭দিন  অথবা এজিথ্রোমাইসিন ১ গ্রাম মুখে একক মাত্রা সেব্য। বেথা থাকলে প্যারাসিটামল ৫০০ মি গ্রাম  দিনে ৩বার ৭দিন। 

গনোকক্কাল উরেথ্রাইটিস:

-সেফিক্সিম ৪০০ মি,গ্রাম মুখে একক মাত্রা অথবা বিকল্প হিসাবে কুইনোলোন জাতীয় ঔষদ ব্যাবহার করাযেতে পারে। 

মূত্রথলির সমস্যার পরামর্শ 

>পরিপূর্ণ  বিশ্রাম ,

>প্রচুর পরিমানে বিশুদ্ব পানি পান করতে হবে ,

>যন্ত্র তন্ত্র এন্টিবায়োটিক খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে ,

>এন্টিবায়োটিক অবশ্যাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে ,

>নিরাপদ যৌনসঙ্গম করতে হবে অর্থাৎ কনডম ব্যাবহার করতে হবে ,

ইনফেকশন না সেরেওঠা  পর্যন্ত যৌনসঙ্গম থেকে বিরত থাকা এবং যৌনসঙ্গিনীকে এসব বিষয়ে অবগত করা। 

 

মূত্রনালীর সংক্রমণ চিকিৎসা

নন-গনোকক্কাল ইউরেথ্রাইটিস 

  • ডক্সিসাইক্লিন ১০০ মি গ্রা দিনে ২ বার ৭ দিন অথবা 
  • এজিথ্রোমাইসিন ১ গ্রাম মুখে একবার মাত্রা হিসাবে অথবা 
  • ওফ্লোক্সাসিন ২০০ মি গ্রা দিনে ২ বার ৭ দিন। 

গনোকক্কাল ইউরেথ্রাইটিস 

  • সেফিক্সিম ৪০০ মি গ্রা মুখে একবার মাত্রা হিসাবে অথবা 
  • সেফট্রিয়াক্সন  ২৫০ মি গ্রা মাংস পেশি পথে একক মাত্রা হিসাবে 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *