মেনিনজাইটিস হলো মেনিন্জ অংশের সংকোচন বা অসুস্থতা, যা মেনিনজেস হলো মস্তিষ্কের একটি মেমব্রেন বা কোষের একটি সারিকা। রোগটি মূলত ব্যক্তির মেনিনজেসের অসুস্থতা হতে পারে এবং এটি জীবাণু, ভাইরাস, বা অন্যান্য কারণেও হতে পারে। 

ব্রেনের উপর একটি পর্দা বা আবরণ আছে,এটিকে মেনিনজেস বলে।  মেনিনজেস এর প্রদাহকে(inflammation) মেনিনজাইটিস বলা হয়। 

রোগের প্রকারভেদ 

পাইওজেনিক মেনিনজাইটিস (Pyogenic meningitis)

টিউবারকুলার মেনিনজাইটিস (Tubercular meningitis)

ভাইরাল মেনিনজাইটিস (Viral meningitis)

রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ 

মাথা ব্যাথা এবং স্বল্পতা: শিরশ্রাবণে ব্যাথা এবং স্বল্পতা হতে পারে, যা মৌলিক লক্ষণের মধ্যে একটি।


উচ্চ তাপমাত্রা: এ রোগে  উচ্চ তাপমাত্রা বা জ্বর হতে পারে।

শিরশ্রাবণে চোখের আগার এবং অবস্থানে ব্যাথা: চোখের আগার এবং অবস্থানে ব্যাথা হতে পারে এবং এটি হাতে এবং শিরশ্রাবণে পৌঁছাতে পারে।


শরীরে অস্বস্তি এবং ব্যথা: এ রোগ হলে শরীরে অস্বস্তি এবং ব্যথা হতে পারে, যা মৌলিক লক্ষণের একটি।


এ রোগটি একটি গম্ভীর অবস্থা হতে পারে এবং তা দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন করে। যদি কেউ এ রোগ আক্রান্ত হয়, তাদেরকে অতি দ্রুত চিকিৎসা প্রদান করতে একটি চিকিৎসকে দেখাতে বা হাসপাতালে যেতে উত্সাহিত করতে হবে।

জটিলতাঃ (Complications)

  • হাইড্রসেফালাস। 
  • কর্টিকাল স্নায়ুর প্যারালাইসিস। 
  • মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা। 
  • সেরিব্রাল  প্যারালাইসিস। 

 চিকিৎসা

পাইওজেনিক মেনিনজাইটিস (Pyogenic meningitis)

  • ব্রড স্পেকট্রাম এন্টিবায়োটিক যেমন –
  • a. inj penicilin ৩-৪ লাখ /kg /day  বিভক্ত মাত্রায়। 
  • b. inj – ampicilin  ২০০-৪০০ mg /kg /day শিরায়। 
  • পুষ্টি ঠিকমত দিতে হবে। 
  • ভালোভাবে রোগীর যত্ন নিতে হবে। 
  • খিঁচুনি হলে inj – diazipam .
  • কোন জটিলতা হলে corticosteroid .