ইন্টারনাল ব্লিডিং কি? রক্ত হলো এক প্রকার তরল পদার্থ। এর রং লাল। হিমোগ্লোবিন নামক লাল রঞ্জক পদার্থের উপস্থিতিতে রক্তের রং লাল হয়। শরীরের কোন স্থানে আঘাতের ফলে বা কেটে গেলে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়, এবং সেই ক্ষত হতে যে রক্ত বের হয় তাকে রক্তক্ষরণ বা রক্তপাত বলাহয়। 

রক্তপাত কত প্রকার ও কি কি

রক্তক্ষরণ কয় ধরনের ? ভিবিন্ন ভাবে রক্তক্ষরণ হতে পারে ,যেমনঃ 

ক ) মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ। 

   মুখের ভিতরের যেকোন অংশ থেকে রক্তপাত হলে বরফ চোষতে হবে। তাহলে রক্তক্ষরণ বন্ধ হবে। এরপর রোগীকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে হবে। 

খ ) নাকদিয়ে রক্তপাত। 

নাক দিয়ে রক্ত আসার কারন কি ও করণীয় 

    আঘাত জনিত বা অন্য কোন কারনে কারো নাকদিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করলে তাৎক্ষণিক তাকে চিৎ করে শোয়াতে হবে অথবা বসিয়ে মাথা পিছনের দিকে হেলিয়ে রাখতে হবে। কাপড়চোপড় ডিলা করে দিতে হবে। নাকের সামনে ও ঘরের পিছনে ঠান্ডা কম্প্রেস দিতে হবে। মুখদিয়ে শ্বাসকার্য চালাতে হবে। রক্তক্ষরণ বন্ধ হবার পরও কিছক্ষন নাকের ছিদ্র পথে তুলে দিয়ে রাখতে হবে।  

গ) শরীরের কোনস্থানে কেটে রক্তক্ষরণ। 

    শরীরের কোনস্থানে কেটে রক্তপাত হলে কাটা স্থানটি পরিষ্কার হাত দিয়ে চেপে ধরতে হবে। রক্ত বন্ধ হলে ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে। সাধারণত ৩ টি উৎস থেকে রক্তপাত হয়। যথা:

   ১-কৈশিক নালি >একটানা স্রোতের ন্যায় রক্ত বের হয়। 

   ২-শিরা >গল গল  করে রক্ত বের হয়।

   ৩-ধমনী >ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হয়।

দুর্ঘটনায় বেশিরভাগ রক্তপাত হয় কৈশিক নালি থেকে। 

ঘ) কোন বস্তূ ঢুকে রক্তক্ষরণ। 

শরীরের কোনস্থানে কোন বস্তূ ঢুকে রক্তপাত হলে যা করবেনঃ 

     >ক্ষতস্থানের দুই পাশে চেপে ধরুন। তবে ক্ষতস্থানের উপর চাপ দিবেননা। 

     >ক্ষতস্থান ও বস্তুটির ওপর আলতো করে গজ বা কাপড় মুড়িয়ে নিন। 

     >বস্তুটির চারদিকে ক্ষতস্থানের উপর প্যাড ব্যাবহার করে ব্যান্ডেজ বাঁধুন। 

     >ক্ষতস্থান থেকে বস্তুটি তুলে ফেলার চেষ্টা করুন। 

     >হাত বা পায়ের ক্ষেত্রে অঙ্গ উঁচুকরে রাখুন। 

রক্তপাতের প্রাথমিক চিকিৎসা :

রক্তক্ষরণ বন্ধ হওয়ার প্রক্রিয়ার নিম্নে আলোচনা করা হলো 

১)রোগীকে বসানো বা শোয়ানো যায় এমন স্থানে স্থানান্তর করতে হবে। এতে রক্তপাত আপনা আপনি কমেযায়। 

২)যে স্থান হতে রক্তপাত হচ্ছে ,সে স্থান রিদপিন্ডের সমতায় রাখলে রক্তক্ষরণ কমেযায়।