হার্ট অ্যাটাক কি?

হৃদযন্ত্রের মাংসপেশীর অক্সিজেনের চাহিদা এবং করোনারি ধমনীর রক্ত সঞ্চালনের মধ্যে অসমতা হলে যদি হৃদযন্ত্রের মাংসপেশীর নেক্রোসিস (পচন )হয় তাকে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন বা এম,আই বলে। আবার, মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন বা হৃৎপেশীর রক্তাভাবজনিত মৃত্যু বা হৃদাঘাত হল হৃৎপিণ্ডের ধমনীর রক্তপ্রবাহে বিভিন্ন কারণে অবরোধ হয়ে হৃৎপিণ্ডের দেওয়ালের কোনো অংশের টিস্যুর মৃত্যু। একে ইংরেজিতে চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক পরিভাষায় “মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কসন” ও কথ্য ইংরেজি ভাষায় হার্ট অ্যাটাক বলে। যদি আপনি অথবা কাউকে হার্ট অ্যাট্যাকের লক্ষণ অথবা সন্দেহ থাকে, তা দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। হার্ট অ্যাট্যাকের যথা সময়ে চিকিৎসা প্রাপ্ত না হলে, জীবন বচ্চাতে সমস্যা হতে পারে।

হার্ট অ্যাটাকের কারণ

যার মধ্যে, হৃদযন্ত্র ও এর আশেপাশের সমস্যা এবং ব্যথা থাকলে ব্যথার কারণ নির্ণয় করা, উচ্চরক্তচাপ সমস্যার নির্ণয় ও সমাধান করা, জন্মগত হৃদযন্ত্রের সমস্যা কি না তা নিশ্চিত করা, হৃদযন্ত্র ও শরীরে লিপিড বা চর্বির পরিমাণ ও শরীরে এর বিরূপ প্রভাবের পরিমাণ নির্ণয় করা সহ আরো নানা বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়

 

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ ও উপসর্গ

ব্যাথা-এনজিনার মতই, তবে তীব্র এবং গ্লিসারিন ট্রেইনাট্রেট দিয়ে ব্যাথা সরানো যায়না। 

     >নিঃশ্বাস খাটো হয়ে যায়। 

     >বমি হয়। 

     >মূর্ছা যায়।                              হার্ট ফেইলরের কারণ,লক্ষণ ও চিকিৎসা জানুন

     >রোগী খুব ঘামতে থাকে এবং ক্লান্ত হয়ে পড়ে। 

যা দেখতে হবে 

(১)সিম্প্যাথেটিক অস্টিভেশনের  লক্ষণ

    –রোগী ফ্যাকাশে হাওয়া 

    –রোগী ঘামছে কিনা ,

    –নাড়ির গতি বাড়ছে কিনা। 

(২)ভেগার উত্তেজনার লক্ষণ

    –বমি হওয়া ,

    –নাড়ির গতি কমছে কিনা। 

(৩)হৃদযন্ত্রের মাংসপেশির কাজের বাধা প্রাপ্তির লক্ষণঃ 

    –জান্ডুলার শিরার প্রেসার বেড়ে যায় 

    –প্রথম হার্ট সাউন্ড ছুট হয় 

    –তৃতীয় হার্ট সাউন্ড শুনাযায়। 

(৪)কলা ধ্বংসের লক্ষণঃ 

    –জ্বর ও পেরিকার্ডিয়াল ফ্রিকশন। 

 

হার্ট অ্যাটাক হলে করণীয় 

     *১/২ সপ্তাহ বিশ্রাম ও ৪সপ্তাহ তরল খাবার। 

     *৭দিন পর জটিলতা হলে তার চিকিৎসা। 

     *ধূমপান একেবারেই বন্ধ করতে হবে। 

     *উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা কমাতে হবে। 

     *চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা। 

     *নিয়মিত ব্যায়াম এবং ওজন কমাতে হবে। 

হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক চিকিৎসা

*রোগীকে অবশ্যাই হাসপাতালে নিতে হবে। 

*ব্যাথা কমানো এবং ঘুমের জন্য inj ,pethedine ২ m.g প্রতি কেজি ওজনের জন্য। 

*পূর্ণ  বিশ্রাম এবং দরকার হলে অক্সিজেন দিতে হবে। 

*glycerin trinitrate জিহ্বার নিচে বা শিরায়। 

*Isosorbid dinitrate  (১০ মি. গ্রাম ) মুখে প্রতিদিন ২-৩ বার। 

*তরল খাবার ও aspirin অল্প মাত্রায় 

                            ঢাকার কার্ডিওলজিস্ট বা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা