মেনোরেজিয়া কি?
মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে অনেকে চিন্তায় পড়ে যায় বা ঘাবড়ে যায়। এই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণকে বলা হয় menorrhagia . পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ অথবা নিদ্রিষ্ট সময়ের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদী মিনস্ট্রয়াল ব্লিডিংকে মেডিকেল টার্মে মেনোরেজিয়া বলা হয়।
প্রতি ৮০ মিলিলিটারের বেশি মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে তাকে মেনোরেজিয়া বলে। মেনোরেজিয়ার ক্ষেত্রে মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় এবং পেতে ব্যাথা হয়।
মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ কেন হয়
- হরমোনাল ইমব্যালেন্স :ইস্টোজেন এবং প্রজেস্টেরনের মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলে।
- এনওভুলেটরী মিনস্ট্রয়াল সাইকেল :যাদের রিসেট মিনস্ট্রয়েসন শুরু হয়েছে কিংবা যারা মেনোপজের কাছাকাছি তাদের এ ঘটনা ঘটে।
- ফাইব্রয়েড উটেরাস বা জরাযুতে টিউমার :রিপ্রোডাসটিব এইজে এই টিউমার বেশি হয়
- ইউটেরাইন পলিপ : এটাও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রিপ্রোডাসটিব এইজে হয়।
- এডেনোমায়োসিস।
- মিসক্যারেজ বা একটোপিক প্রেগনেন্সি।
- ক্যান্সার :জরায়ু ক্যান্সার,জরায়ু মুখ ক্যান্সার এবং ওভারিয়ান ক্যান্সারের লক্ষণ হিসাবে অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে।
- ব্লিডিং ডিসঅর্ডার :কারো কারো ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাধা জনিত সমস্যার কারনে বেশি রক্তপাত হয়।
- ঔষধ : যেমন আন্টি কোয়াগুলেন্ট ড্র্যাগ।
মেনোরেজিয়া রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ
- মেনোরেজিয়া হলে সাধারণত যেসব লক্ষণ ও উপসর্গ দেখাদেয় :
- মাসিকের প্রথমদিন গুলোতে প্রতি ঘন্টায় কাপড় বা প্যাড বদলাতে হয়।
- রক্তপাত শোষনের জন্য দুইটি স্যানেটারি প্যাড বা কাপড় ব্যাবহার করতে হয়।
- রাতের বেলা স্যানেটারি প্যাড বা কাপড় পরিবর্তনের প্রোয়জন পরে।
- মাসিকের সময় ৭ দিনের অধিক স্থায়ি হলে।
- মাসিকের রক্তের সাথে রক্তের বড় চাকা গেলে।
- অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে প্রতিদিনের কাজকর্মে বেঘাত ঘটে।
চিকিৎসা; অতিরিক্ত ব্লিডিং বন্ধ করার উপায়
অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় বা মেনোরেজিয়ার চিকিৎসা কতগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমনঃ
- স্বাস্থা এবং রোগের ইতিহাস।
- অবস্থার কারন এবং ধরন।
- ভবিষ্বাদ সন্তান গ্রহণের পরিকল্পনা।
- রোগীর ব্যাক্তিগত মতামত
মেডিক্যাল :
- হরমোন থেরাপি
- n s a i d ঔষধ
অতিরিক্ত মাসিক স্রাব সার্জিক্যাল :
- ডি এন্ড সি
- হিস্টেরোস্কপি
- এন্ড্রোমেট্রিয়াল অবলেশন
- হিস্টেরেকটমি
উপরোক্ত বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে মেনোরেজিয়ার যেসব চিকিৎসা রয়েছে সেগুলো হলো :
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রণ ঔষধ ,ননস্টারডাল প্রদাহ প্রতিরোধক ঔষধ সেবন।
- জন্ম নিয়ন্ত্রণ ঔষধ সেবন
- হরমোন ট্যাবলেট সেবন
- জরায়ুর ভিতরে হরমোন নি স্বরন ডিভাইস রাখা
- ঔষদে না সারলে অপারেশন।
পিরিয়ড ১০ দিনের বেশি হলে করনীয়
পিরিয়ডের সময় এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো এড়িয়ে চলতে হয়। যেমন- কফি বা দুধ চা এড়িয়ে চলতে হবে, অতিরিক্ত ভারী খাবার ও তেলে ভাজাপোড়া খাবার, প্রসেসড খাবার, কোল্ড ড্রিংকস ও অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার, অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার এবং অতিরিক্ত ঘন দুধ জাতীয় খাবার।