আইবুপ্রোফেন (Ibuprofen) এর উচচ মাত্রার প্রদাহরোধী,জ্বর নিবারক ও বেদনানাশক কার্যকারিতা রয়েছে। বেদনানাশক কার্যকরী প্রান্তীয় ও কেন্দ্রীয় দুই ভাবেই হয়ে থাকে। আইবুপ্রোফেন সাইক্লোঅক্সিজিনেস এনজাইমের একটি শক্তিশালী প্রতিবন্ধক।

তাই ইহা প্রোস্টাগ্লান্ডিন এর সংশ্লেষণ উল্লেখযোগ্য পরিমানে কমিয়ে দেয়। আইবুপ্রোফেন লাইপোক্সিজিনেজ দ্বারা উৎপন্ন যৌগ সংশ্লেষণে বাধা প্রদান করে।

সুতরাং ইহা দ্রুত ব্যাথা এবং আড়ষ্ঠতা উপশম করে ,ফোলা কমায় এবং আর্থাইটিস রোগীদের ভিবিন্ন অস্থিসন্দির সচলতার উন্নতি ঘটায়

নির্দেশনা 

আইবুপ্রোফেন রিউমাটয়েড আর্থাইটিস,অস্টিও আর্থাইটিস,গাউটি আর্থাইটিস,জুভেনাইল পলিআর্থাইটিস,এনকাইলোজিং স্প্ৰন্ডিলাইটিস,সাইনুভাইটিস, কোমর ব্যাথা,ডিসমেনোরিয়া,জ্বর,মাইগ্রেন,নরম কোষকলার আঘাত এবং দাঁত ব্যাথ ও পেশির প্রদাহে নির্দেশিত। 

মাত্রা ও ব্যাবহার বিধি 

প্রাপ্তবয়স্কঃ ৪০০ মি :গ্রা : দিনে ৩ বার। দৈনিক মাত্রা সর্বোচ্চ ২৪০০ মি :গ্রা : এর বেশি দেয়া উচিত নয়। 

শিশু: দৈনিক ২০ মি :গ্রা :/প্রতি কেজি শারীরিক ওজন হিসাবে বিভক্ত মাত্রায়। এই মাত্রা প্রাপ্তির জন্য সাসপেনশন ব্যাবহার করে নিম্ন লিখিত বয়স ভিত্তিক সেবন মাত্রা অনুসরণ করা যেতে পারে। 

  • ১-২ বৎসর :  দৈনিক ২.৫ মি :গ্রা :(৫০ মি :গ্রা 🙂 ৩-৪ বার। 
  • ৩-৭ বৎসর :  দৈনিক ৫ মি :গ্রা :(১০০ মি :গ্রা 🙂 ৩-৪ বার। 
  • ৮-১২ বৎসর :  দৈনিক ১০ মি :গ্রা :(২০০ মি :গ্রা 🙂 ৩-৪ বার। 
  • ৭ কেজির কম ওজনের শিশুদের জন্য নির্দেশিত নয়। জুভেনাইল রিউমাটয়েড আর্থাইটিসের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪০ মি :গ্রা :/কেজি শারীরিক ওজন হিসাবে দৈনিক বিভক্ত মাত্রায় দেয়া যেতে পারে। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন। 

প্রতিনির্দেশনা 

আইবুপ্রোফেন এর প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে এই ঔষধ প্রতিনির্দেশনা। এছাড়া যাদের সক্রিয় মারাত্বক পেপটিক আলসার রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি দেয়া যাবেনা। 

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে 

আইবুপ্রোফেন গর্বাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যাবহার করা উচিত নয়।