আমবাত কি?

শরীরের সব এলার্জি জনিত রোগের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হচ্ছে আমবাত। যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলাহয় আর্টিকেরিয়া। ত্বকের ভিবিন্ন রকম এলার্জির মধ্যে আর্টিকেরিয়া বা আমবাত বেশি দেখাযায়।

আমবাত এর লক্ষণ

এতে সবশরীর চাকা চাকা হয়ে লাল হয় ও ভিশন চুলকায়। দাগ বা চাকা মিলিমিটার থেকে শুরু করে সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতেপারে। এ ধরনের আমবাত কখনো শরীরের বাহিরে না হয়ে শরীরের ভিতরেও হতে পারে ,যেমন :ঠোঁটে বা চখের ভেতরে। আমবাত বা আর্টিকেরিয়া সবচেয়ে মারাত্বক হয় যখন এটি শ্বাসনালীর ভেতরে হয় ,একে বলাহয় এলার্জিওইডিমা। এটা হলে শ্বাসনালী বন্ধহয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

আমবাত এর কারণ 

 

(১) খাবার : যেসব খাবারে উল্লেখযোগ্য পরিমানে আমিষ পদার্থ রয়েছে, যেমনঃগোস্ত , মাছ , ডিম ,গম ইত্যাদি খাবার গ্রহণের ফলে আমবাতের সৃষ্টি হতে পারে। খাবারে সৃষ্ট এলার্জি আমবাত নিদৃষ্ঠ খাবারের কারনে অথবা কত বেশি খাবার গ্রহণ করা হয়েছে তার উপরই নির্ভর করবে যে ,খাবারের পরেই এলার্জি দেখাদেবে নাকি কোন একবার গ্রহণ করলেই দেখা দেবে।

(২)ওষুধ : কিছু কিছু ওষুধ যেমন পেনিসিলিন ,সালফনামাইড ,টেট্রাসাইক্লিন ইত্যাদির ব্যাবহার বন্দের পর অতিসহজেই চলেযায়। কিন্তু পেনিসিলিন ও সালফনামাইড ওষুধ ব্যবহারের সৃষ্ট আমবাত, ওষুধ বন্ধের কয়েক সপ্তাহ পর পর্যন্তও শরীরে থাকতে পারে।

(৩)নিঃশ্বাসের মাদ্যমে : অনেক পদার্থ যেমন ,পরাগরেণু ,ছত্রাকের ডিম জাতীয় কীটপতঙ্গের ভগ্নাংশ এবং মানব ও পশুর বিষ্ঠা যা ধুলোবালিতে থাকতে পারে তা আমাদের শ্বাস প্রশ্বাসে শরীরে প্রবেশ করে। তা কারো কারো আমবাত হতে পারে।

(৪)ইনজেকশন : ইনজেকশনেও আমবাত হতে পারে, তবে এসব ক্ষেত্রে ইনজেকশন কন্ট্রোল হয়ে গেলে আমবাত সেরে যায়। কখনো কখনো শরীরে ইনজেকশন সুপ্ত ও লপ্ত অবস্থায় থেকে মুক্ত এন্টিজেন নির্গত করছে এবং এলার্জি সৃষ্টি করে যাচ্ছে।

(৫)পেটে কৃমি বা পরজীবী থাকলে : অনেক পরজীবীই অন্ত্রে বাস করে এবং এগুলো তাদের সুককীট বস্তায় ত্বকের মাদ্যমে বা ফুস ফুসের মাদ্যমে পথ অতিক্রম করে এবং এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে

(৬)ঠান্ডা : ঠান্ডার করণেও এলার্জির সৃষ্টি করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এ ধরনের রোগের সাথে অন্ন কিছু রোগ থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঠান্ডাজনিত এলার্জি দেখাদিতে পারে। এ ধরনের রোগীদের বেলায় ঠান্ডা পানিতে গোসল , ঠান্ডা বাতাসে বের হয়া ,ঠান্ডা খাবার খেলেও এলার্জি হতে পারে। আবার গরমেও ওই একই অবস্থা হতে পারে।

আর্টিকেরিয়া সম্পর্কিত
Women with allergies, symptoms of urticaria, Magnifier

 

আমবাত রোগের প্রকারভেদ

আর্টিকেরিয়া বা আমবাতকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
ক ) একিউট আর্টিকেরিয়া: এতে খুব দ্রুত উপসর্গ গোলো দেখাযায় ,আবার খুব দ্রুতই মিলিয়ে যায়। সাধারণত ৬ সপ্তাহের কমই থাকে এবং বাচ্ছাদের ক্ষেত্রেই এটি বেশিহয়
খ ) ক্রনিক আর্টিকেরিয়া: বার বার হয়ে থাকে এবং ৬ সপ্তাহের বেশি। কারও কারও ক্ষেত্রে মাসের পর মাস এবংকি বছরও চলতে থাকে। ৮০ ভাগ ক্ষেত্রেই নিদ্রিষ্ট কোন কারন খুঁজে পাওয়া যায়না।

 

আমবাত এর চিকিৎসা  (treatment)


.যখন এলার্জির নিদৃস্ট কারন খোঁজে পাওয়া যায়, তখন তা পরিহার করে চললেই এলার্জির নিয়ন্ত্রণ করাযায়। সতরাং এ ধরনের কারন পেলেই তা পরিহার করুন।
.এলার্জির ভেদে ওষধ প্রোয়গ করে এলার্জির উপশম অনেকটা পাওয়া যায়। যেমন ,ডিসলোরাটিদিন , প্রতিদিন একটা করে , অথবা এলার্জির দেখাদিলে।