এন্টাসিড একটি নন-সিস্টেমিক অলমনাশক এবং ইহাতে এলুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড এবং ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রক্সাইড চমৎকার ভাবে সম্বলিত। ইহা অত্যন্ত নির্ভরযূগ্য এবং দীর্ঘক্ষন কার্যকরী অলমনাশক। অন্ত্র ও পাকস্থলীর সংবেদনশীল পর্দাকে মিউকোসার উপর অক্সিজেন আচ্ছাদন তৈরি করে। ফলে অন্ত্রকে পুনরাক্রমন থেকে রক্ষা করে ক্ষতের নিরাময় ত্বরান্বিত করে। এন্টাসিড একটি নির্ভরযূগ্য অলমনাশক যার ব্যাবহার কুষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া হয় না

উপাদানঃ

প্রতিটি টেবলেট এ রয়েছে ড্রাইড এলুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড জেল বিপি ১২৫মি,গ্রা , এবং ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রক্সাইড বিপি ৪০০মি,গ্রা।

সাসপেনশন: প্রতি ৫ মি,গ্রা সাসপেনশনে ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রক্সাইড বিপি কম্প্রেস জেল ২গ্রাম  যা ২০০ মি,গ্রা এলুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড এর সমতুল্য।

নির্দেশনা (instructions)

এন্টাসিড বিশেষ ভাবে তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী অন্ত্রের প্রদাহ,পাকস্থলী এবং ডিওডেনাল আলসার,রিফ্লেক্সজনিত খাদ্যনালীর প্রদাহ,বুক জ্বালা,আলম ডেকুর ইত্যাদি রোগে ব্যাবহুদ হয়।

এলকোহল, তামাক,কফি,ইত্যাদি গ্রহণের ফলে অথবা অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে সৃষ্ট ওলমে নির্দেশিত। এন্টাসিড গ্যাস্টিক হাইপার এসিডিটি উপশমে ব্যবহুত হয়।

সেবন মাত্রা বা সেবনবিধি

ট্যাবলেট :১-২ টি ট্যাবলেট খাবারের ১ থাকে ২ ঘন্টা পর অথবা রাতে শোবার সময়।

সাসপেনশন: ২-৪ চা চামচ খাবারের ১ থাকে ২ ঘন্টা পর অথবা রাতে শোবার সময়। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন।

প্রতিনির্দেশনা

এন্টাসিডের উপাদানের অতিসংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত।

পূর্বসতর্কতা

এ ঔষধ এন্টিকুলিনার্জিক এজেন্ট, কিটুকুনজল, ডিগক্সিন ,কুইনাইন, ওয়ারফরিন,ট্রেট্রাসাইক্লিন,আয়রন প্রভিতি ঔষদের শোষন কমিয়ে দিতে পারে।

এ  সমস্ত ঔষদের সাথে এন্টাসিড না খাওয়া ভালো। একই সাথে নির্দেশিত হলে অন্তঃতপক্ষে ১থেকে ২ ঘন্টার ব্যাবধানে খাওয়া যেতে পারে।

 

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া (Side effects)

এন্টাসিড সুস্হনিয়। ক্ষেত্র বিশেষ ডায়রিয়া বা কুষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।

সরবরাহ (supplies)

ট্যাবলেট, সাসপেনশন।