পেটে ব্যথা হওয়ার কারণ

  অসঙ্খ এবং ভিন্ন ভিন্ন কারণের চিকিৎসাও ভিবিন্ন। তাই পেটের বেদনার  চিকিৎসার জন্য প্রথমে কারন নির্নয় করা প্রয়জন। কিন্তু দুর্ভাগ্য বসত অত্যন্ত আধুনিক সুবিধা চিকিৎসা কেন্দ্রেও অতি সহজে এবং বেদনা শুরু হবার সাথে সাথেই তার কারন নির্নয় করা অনেক সময় দুরহ কিংৱা অসম্বপ হয়ে পরে।

কিন্তু যতক্ষন পেটের ব্যথার কারণ নিশ্চিত না হয় ততক্ষন অন্তত রোগীর ব্যাথা উপশমের জন্য চিকিৎসককে কোন না কোন ব্যাবস্থা প্রহণ করতে হয়। পেটের ব্যথা হতে পারে শুধুমাত্র একটি আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলাফল হওয়াও, কিন্তু তা গভীরভাবে অনুশাসিত এবং চিকিৎসা প্রয়োজন স্বাস্থ্য সমস্যার চিহ্ন হতে পারে।

 

পেটের মাঝখানে ব্যথার কারণ

১)পাকস্থলীর অলমাধিক্য (Insufficiency of the stomach)

২)পেপটিক আলসার (Peptic ulcer)

৩)ইসোফেগাইটিস (Esophagitis)

৪)যেকোন কারনে লিভার প্রদাহ কিম্বা লিভারের আকৃতি বৃদ্ধি .

৫)প্যানক্রিয়াসের প্রদাহ (inflammation of the pancreas)

৬)পিত্তথলির প্রদাহ, পাথর(Gallbladder inflammation, stones)

৭)লিভার কিংবা প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার (Liver or pancreas cancer)

৮)কিডনির প্রদাহ বা মূত্রনালির পাথর (Kidney inflammation or urinary stones)

৯)অ্যাপেন্ডিস  এর প্রদাহ(Inflammation of the appendix)

১০)বৃহদান্ত্রের প্রদাহ। যেমনঃ আমাশয় ,অন্ত্রের বাধা। 

১১) পেরিটোনিয়ামের প্রদাহ(Inflammation of peritoneum)

১২)পাকস্থলী বা অন্ত্রনালীর কোথাও ছিদ্র হলে (If there is a hole in the stomach or intestinal tract)

১৩)বদহজম, বায়ু ,খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য ব্যাথা হতে পারে। 

                                                                      ঢাকার গ্যাস্ট্রোলিভার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের তালিকা

হঠাৎ পেটে ব্যথা হলে করনীয়

পেট বলতে আমরা বুক হইতে নাভির নিচ পর্যন্ত সমস্ত গোলক টুকুকেই বুজি। এই গোলক টুকুর নানা স্থানে নানান কিছু থাকে , এদের একেকটার একেক কাজ। এর মধ্যে কোনকারনে ব্যথা হচ্ছে তা সহজে বুজাযায়না। তবুও আমাদের দেশের চিকিৎসক, ফার্মাসিস্টগন ও ফার্মিসী হতে একটা কমন চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। 

যেমন : গ্যাস ও আলসার বিরুধী ওষুধ,ব্যাথানাশক, ইত্যাদি। কারন না জেনে চিকিৎসা দেওয়া কতটা যুক্তিযত তাজানিনা, তবে কারন জানাটা বেশি প্রয়োজন মনেকরি। আপনার যদি পাকস্থলীর কোনো লক্ষণ আছে বলে মনে হয় তবে ডাক্তার দেখিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন। এছাড়া নিচের যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন

  • -রক্তবমি হলে। বমির সাথে উজ্জ্বল লাল রঙের রক্ত যেতে পারে। অথবা খয়েরী রঙের চাকাচাকা বা দানাদার রক্ত মিশ্রিত থাকতে পারে, যা দেখতে অনেকটা কফির দানার মতো।
  • -কালো, আঠালো, আলকাতরার মতো পায়খানা হলে।
  • -পেটে হঠাৎ করে তীব্র ও তীক্ষ্ণ ব্যথা হলে, যা সময়ের সাথে ক্রমশ বাড়তে থাকে। 

এসব লক্ষণ শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ (Internal Bleeding) এর মতো কোনো মারাত্মক জটিলতার কারণে দেখা দিতে পারে। তাই দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন।

পেট ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত

পেট ব্যথায় সময়ে সময়ে খাবার নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, যেহেতু পেট স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী খাবার দেওয়া যেতে পারে এবং আপনার পেটের সমস্যার কারণে আপনি সহজে না পারলেও খাওয়া যেতে পারেন। তবে, আপনার পেটের ব্যথার কারণ এবং ধরণ অনুসারে খাবার নির্বাচন করা উচিত।

যেহেতু পেটের ব্যথা সমস্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন কারণ হতে পারে, তাহলে যে ধরনের ব্যথা আপনি অবস্থান করছেন সেটা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। একবার কারণ নির্ধারণ করে সঠিক চিকিৎসা প্রাপ্ত করার জন্য ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। ডাক্তার আপনাকে আপনার সমস্যার সঠিক চিকিৎসা প্ল্যান বা পরামর্শ প্রদান করতে সাহায্য করতে পারেন।

পেট ব্যথার সময়ে কি খাওয়া উচিত তা উল্লেখ করা হচ্ছে, যা সাধারণভাবে সহায়ক হতে পারে:

  1. মুখ্য প্রাণী খাবার: প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাংস, মাছ, ডাক, অসুস্থ ডাক, অসুস্থ ডাক, সবজি এবং ফল খেতে সাহায্য করতে পারে যেটি পেটের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
  2. ড্রাই ফ্রুট ও কুকিস: সাধারণভাবে ড্রাই ফ্রুট এবং কুকিস স্বাস্থ্যকর এবং পেটের ব্যাথা সামগ্রিকভাবে সাহায্য করতে পারে।
  3. দুধ এবং দুগদ্ধ প্রয়োজনে একটি প্রতিরোধ বা পেপসিন অংশ: যেহেতু দুধ পেটের ব্যথা কাম করতে সাহায্য করতে পারে, এটি প্রয়োজনে পেপসিন অংশ সহিত দুধ খেতে পারেন।

সবসময় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, যখন পেটের ব্যথা আরম্ভ হয়(প্রথম স্তর) ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। এছাড়া, ডাক্তারের নির্দেশনা মেনে চলা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ।

 

পেটে ব্যথা কমানোর ওষুধ

 

পেটে ব্যথা কমানোর জন্য কিছু সাধারণ ওষুধের মধ্যে আছে কিছুটা সামান্য পেটে ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট বা লিকুইড ওষুধের জন্য অনুমোদিত নির্দিষ্ট হাসপাতালের ওষুধের সাথে যোগ করা। তবে, প্রথমে সাধারণ ব্যবস্থাপনা, যেমন পর্যাপ্ত পানি পান এবং পুষ্টিকর খাবারের সাথে পানি স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

তবে, এই ধরনের ওষুধের ব্যবহারের আগে কোন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ নিতে উচিত, কারণ ব্যথার মূল কারণ নির্ধারণ এবং সঠিক চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। চিকিৎসক পরামর্শ দিবে কোন ধরণের ওষুধ আপনার পেটে ব্যথা কমানোর জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয়।

 

ক্ষুধামন্দার কারন/লক্ষণ ও চিকিৎসা