ফেমোটিডিন একটি শক্তিশালী হিস্টামিন H২ এন্টাগোনিষ্ট যা আলসারেসন এবং অন্যান্ন অবস্থায় যেখানে গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণ কমানো উপকারী,সেসব জায়গাতে ব্যবহূত হয়। 

 ফেমোটিডিন হচ্ছে গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরনে একটি তীব্র প্রতিবন্ধক,যা গ্যাস্ট্রিক প্যারাইটাল কোষের হিস্টামিন H2 রিসেপ্টরকে বাধা দিয়ে কাজ করে। ফেমোটিডিন এর যকৃত ও যকৃতের সাইটোক্রোম P৪৫০ এনজাইমের উপর কোন প্রভাব নেই। 

নির্দেশনা 

ফেমোটিডিন  নিম্ন ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয়ে থাকে –

  • সক্রিয় ডিওডেনাল আলসার ও পুনরায় ডিওডেনাল আলসারের প্রতিষেধক হিসাবে। 
  • সাধারণ গ্যাস্ট্রিক আলসার ও জুলিনজার ইলিসন সিনড্রোম। 
  • গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ এবং বুকজ্বালা ও এসিড পেপসিনের পেয়সামনে। 

মাত্রা ও ব্যাবহার বিধি 

সাধারণ গ্যাস্ট্রিক ও ডিওডেনাল আলসারে: ৪০ মি: গ্রা : রাতে ৪-৮ সপ্তাহ,এর পর ২০ মি: গ্রা : করে রাতে মেইন্টেইনেস ডোজ হিসাবে। 

 রিফ্লাক্স ইসো ফাযাইটিস : ২০-৪০ মি: গ্রা : দিনে দুই বার ৬-১২ সপ্তাহ, এর পর ২০ মি: গ্রা : করে দিনে ২ বার। 

জুলিনজার ইলিসন সিনড্রোম: ২০ মি: গ্রা : ৬ ঘন্টা পর পর। ৮০০ মি: গ্রা : দৈনিক বিভক্ত মাত্রায় দেয়া যেতে পারে। শিশুদের জন্য প্রযোজ্য নয়। 

প্রতিনির্দেশনা 

ফেমোটিডিন বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মধ্যে মাথা ব্যাথা, মাথা ঘোরা,ফুসকুড়ি,ক্লান্তি লাগা,ডায়রিয়া এবং খাদ্যনালির অন্যান্ন অসুবিধা দেখা দিতে পারে। 

বৃক্কের অকার্যকারিতা ক্ষেত্রে এটি সাবধানে ব্যাবহার করতে হবে। 

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে 

ফেমোটিডিন গর্ভাবস্থায় একান্ত প্রয়োজন না হলে ব্যাবহার করা উচিত নয়। স্তন্যদানকালীন অবস্থায় এটি না গ্রহণ করাই ভালো। 

 এই ঔষধ এর প্রতি অতি সংবেদন শীলতার ক্ষেত্রে ও গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ব্যাবহার না করা উচিত।