হাড়ের সংযোগ স্থান সঞ্চালনের সময় হঠাৎ মচকে গেলে বা বেঁকে গেলে সংযোগ স্থান সংলগ্ন স্নায়ুতন্ত্রের ওপর টান পড়ে বা ছিটে গিয়ে যে অসুবিধার সৃষ্টি হয় তাকে মচকানো বলে। ব্যায়াম, খেলাধুলা বা অন্যান্ন কাজ-কর্মের সময় মাঝে মাঝে ব্যথা পাওয়া বা মচকানো অস্বাভাবিক কিছু নয়। 

এসব দুর্ঘটনার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু অনেক সময় চিকিৎসকের সাহায্য পেতে দেরি হয়। তাই আহত বেক্তির প্রাথমিক চিকিৎসার দরকার হয়। 

কারণ:

দৈহিক অস্থিতির জন্য কারণ:

দুর্বল হাড়ের মৌলতা: কোনও দুর্বল হাড়ের কারণ থাকতে পারে যা হাড় ভাঙার সহিত বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

অসুস্থতা বা উপশম্য অসুস্থতা: কিছু রোগ বা অসুস্থতা হলে হাড় ভাঙা হতে পারে, এমনকি কোনও অসুস্থতা বা শক্তির অভাবের জন্য সহজেই হাড় ভাঙা হয়ে যেতে পারে।

দুর্ঘটনা বা অপঘাতের ফলে:

গাড়ি দুর্ঘটনা বা কাজের জন্য অপঘাত: একজন ব্যক্তি কোনও দুর্ঘটনা বা অপঘাতে আক্রান্ত হলে তার হাড় ভাঙা হতে পারে।

খেলাধুলা অথবা ক্রীড়া: খেলাধুলা বা ক্রীড়া করতে সময়ে হাড় ভাঙা হতে পারে যা অসুস্থতার কারণ হতে পারে।

মানসিক অস্থিতির জন্য কারণ:

মানসিক অসুস্থতা বা চিন্তা মুক্তি: মানসিক চিন্তা, মানসিক অসুস্থতা, অথবা মানসিক চাপ হলে হাড় ভাঙা হতে পারে।

এই অবস্থার সাথে সহযোগিতা নেওয়া এবং যে কোনও কারণ বা শারীরিক অসুস্থতা সম্পর্কে চিকিৎসা প্রদানের জন্য চিকিৎসকে দেখাতে বা পরামর্শ নেওয়ার জন্য উপযুক্ত। 

লক্ষণঃ 

আহত স্থানে ব্যথা অনুভূত হবে ও সন্দ্বীস্থল ফুলে যাবে। 
আহত স্থান বিবর্ণ হয়ে নীল বা লাল আকার ধারণ করবে। 
স্বাভাবিক ভাবে নড়াচড়া করা যাবে না এবং চলার সময় আহত স্থানে ব্যথা বৃদ্বি পাবে। 

প্রাথমিক চিকিৎসা

  • আঘাতের সাথে সাথে আহত স্থানে ঠান্ডা পানি বা বরফ লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে। 
  • আহত স্থানটি নড়া চড়া করতে দেয়া যাবে না। 
  • মচকানো স্থানটি যথাসম্ভব আরামদায়ক অবস্থায় রাখতে হবে। 
  • আহত স্থানে হাড় ভাঙার ব্যান্ডেজ প্রয়োগ করতে হবে। 
  • ব্যান্ডেজ সব সময় ভেজা রাখতে হবে। সম্ভব হলে বরফ লাগাতে হবে। 
  • মাংসপেশি মচকে গেলে রোগীকে সহজ ও আরামদায়ক অবস্থায় শোয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। 
  • যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগীকে ডাক্তার বা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।