মূত্রাশয়ের প্রদাহ বা Cystitis কি?
মূত্রথলির প্রদাহকে চিকিৎসার পরিভাষায় সিস্টাইটিস বলা হয়। যদিও মহিলাদের এটা সচরাচর বেশি হয়। পুরুষরাও এতে আক্রান্ত হন এবং বয়সী পুরুষরাই আক্রান্ত হয়।
মূত্রনালী প্রদাহ এর কারণ ,
স্বাভাবিক জীবাণুমুক্ত মূত্রপথ ব্যাকটেরিয়ায় সংক্ৰমিত হলে সিস্টাইটিস হয়। এক্ষেত্রে মূত্র পথে জ্বালা করে ও প্রদাহ হয়। এটা খুবই সাধারণ বিষয়। বয়স্ক লোকদের সিস্টাইটিসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি থাকে। শতকরা ৮৫ভাগের বেশি ক্ষেত্রে সিস্টাইটিস এর করণ হলো ই-কলাই নামক ব্যাকটেরিয়া।
মূত্রাশয়ের প্রদাহের প্রকার ভেদ ,
ইন্টারস্টিশিয়াল সিস্টাইটিস : সাধারণত মূত্রথলিতে আঘাতের কারণে এটি হয় এবং এক্ষেত্রে সংক্রমণের উপস্থিতি খুব কম থাকে। এ ধরনের রোগীর রোগ নির্ণয়ে সচরাচর অনেকেই ভুল করে। এ রোগের চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিক ব্যাবহার করা হয় না। রোগের কারণ অজানা। এতে ভিবিন্ন ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়।
ইয়োসিনোফিলিক সিস্টাইটিস : এটি সিস্টাইটিসের একটি বিরল ধরণ। বায়োপসির মাধমে রোগ নির্নয় করাহয়। এসব ক্ষেত্রে মূত্র থলির দেয়াল অসঙ্খ ইয়োসিনোফিলে পূর্ন থাকে। যদিও এ ধরনের রোগের সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে কিছু ওষুধ এ রোগ বাড়িয়ে দেয়।
রেডিয়েশন সিস্টাইটিস : যেসব রোগী ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য রেডিয়েশন নিচ্ছেন ,তাদের সচরাচর এ সমস্যা দেখা দেয়।
হেমোরেজিক সিস্টাইটিস : এ ধরনের মূত্রথলির প্রদাহে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত পরে।
মূত্রাশয় প্রদাহ এর লক্ষণ সমূহ,
- তলপেটে চাপ অনুভব করা।
- প্রস্রাব করার সময় ব্যথা বা কষ্ট হওয়া।
- ঘনঘন প্রস্রাব করা অথবা প্রস্রাবের তীব্র ইচ্ছা জাগা।
- রাতের বেলা প্রস্রাবের ইচ্ছা জাগা।
- প্রস্রাব ঘোলাটে হওয়া।
- প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া এবং দুর্গন্ধ হওয়া।
Cystitis এর ল্যাবরেটরি পরীক্ষা বা মূত্রনালী পরীক্ষা
মূত্রনালীর সংক্রমণ চিকিত্সা
মূত্রনালীর সংক্রমণের ঔষধ সমূহ
- নাইট্রোফুরানটয়েন।
- ট্রাইমেথোপ্রিম-সালফামেথোক্সাজল।
- এমোক্সিসিলিন।
- সেফালোক্সিন।
- সিফ্রোফ্লক্সাসিন অথবা লিভোফ্লক্সাসিন ও
- ডক্সিসাইক্লিন