মৃগী বা এপিলেপ্সি (Epilepsy) হলো একটি নিদ্রাজনিত নিদানযোগ্য স্নায়ু সম্বন্ধীয় রোগ, যা মস্তিষ্কের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক সংকটের ফলে উৎপন্ন হয়।

রোগের কারণ

মৃগী রোগ  বিভিন্ন ফ্যাক্টরের সমন্বয়ে হতে পারে। কিছু প্রধান কারণ গুলি হতে পারে-

  1. পুষ্টি অভাব: মৃগীর সঠিক পুষ্টি অভাবে তাদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি দুর্বল হতে পারে এবং রোগ আক্রান্ত হতে সহায়ক হতে পারে।
  2. পরিবারিক গঠন: মৃগীর পরিবারিক গঠনের অভাব বা ব্যবসায়িক অবস্থার বিপদে মৃগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং তাদের সহিত রোগের প্রসার হতে পারে।
  3. পরিবারের নির্দিষ্ট রোগের উপস্থিতি: কিছু রোগ মৃগীরা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, প্রজীবী বা অন্যান্য রোগজীবাণুর মাধ্যমে আক্রান্ত হতে পারে।
  4. পরিবারের প্রতিষ্ঠানের অবস্থা: মৃগীরা যদি অনুকূল পরিবেশে থাকে না এবং সমুদ্র সৈকতিক শর্ত সামর্থ্য থেকে বিরত থাকে, তাদের মধ্যে রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
  5. পরিবারের অবস্থান: পরিবারের অবস্থান এবং পরিবারের সম্পৃক্ত অংশ মৃগীর স্বাস্থ্যের দৃষ্টিগোচর করতে পারে। পরিবারে যে কোনো অসুখ থাকলে তা মৃগীর সাথে মিলে থাকতে পারে।
  6. আবহাওয়া ও পরিবেশের পরিবর্তন: মৃগীরা পরিবারের বা পরিবেশের পরিবর্তনের সাথে সহজেই অস্তিত্ব অভিব্যক্ত করতে পারে এবং এই পরিবর্তন তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

লক্ষণ

সেরিব্রাল নিউরনগুলোর অতি এবং অস্বাবাভিক কাজের জন্য যদি নিচের লক্ষণ গুলো দেখাদেয় তাকে মৃগী বা এপিলেপ্সি বলে। এই রোগে এক বা একাধিক বার নিম্নলিখিত লক্ষণ দেখা যেতে পারে:

আক্রান্তি (Seizures): এপিলেপ্সির প্রধান লক্ষণ হলো আক্রান্তি, যা এপিসোডিক অস্বাভাবিক মস্তিষ্কের কাজে আঘাত করে এবং প্রতিবার একই রকম ঘটতে পারে।

চমক (Aura): কিছু এপিলেপ্সির রোগী আক্রান্তির আগে একটি চমক বা পূর্বদৃষ্টি অবস্থা অবহন করে, যা আক্রান্তির আসন্নতা দেওয়ার দিকে দাবিত করে।

স্থায়ী বা অস্থায়ী লক্ষন : এপিলেপ্সির আক্রান্তি সময় ব্যক্তি বিভিন্ন ধরণের লক্ষণে পড়তে পারে, যা স্থায়ী অথবা অস্থায়ী হতে পারে।

মস্তিষ্কের কাজে স্থায়ী পরিবর্তন: আক্রান্তির পর কিছু সময় ধরে, মস্তিষ্কের কাজে স্থায়ী পরিবর্তন হতে পারে, যা শরীরের নিয়ন্ত্রণ বা সচেতনতা হ্রাস করতে পারে।

স্থায়ী রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ

  • মুড্ এর পরিবর্তন হয় 
  • রোগী  জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং মাটিতে পড়েযায়,মাংসপেশি গুলোর সংকোচন বা খিঁচুনি হয়। রোগী নীল হয়ে যায়। 
  • একটু পর পর মুখ,হাত-পা এবং শরীরে অস্বাবিক নড়াচড়া হয়। 
  • মুখে ফেনা উঠে এবং লালা পরে। জিব্বায় কামড় পরে ও পস্রাব বা পায়খানা বেরিয়ে আসে। 
  • জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর রোগী দ্বিধাগ্রস্থ বোধ করে এ সময় মাথা ব্যাথা করে। 

রোগ নির্নয় 

  1. রোগের লক্ষণ দেখে। 
  2. E. C. G
  3. Skull X-rey 

চিকিৎসা 

খিঁচুনি বিরোধী ঔষধ –
  • ট্যাবলেট্ :ফেনবার্বিটন (Tablet: Phenbarbitone)৫০ থেকে ১২০ এম জি বিভক্ত মাত্রায় ব্যবহার্য।
  • ট্যাবলেট্ : ডিজেপাম (Tablet: Dzepam)১০ থেকে ৩০ এম জি বিভক্ত মাত্রায় ব্যবহার্য।

 

মৃগী বা এপিলেপ্সি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে এবং উপযুক্ত চিকিত্সা প্রদান পেতে, এটি আপনার চিকিত্সকের সাথে আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ অথবা আমাদের কমান্ড বক্সে লিখুন।

এপিলেপ্সি (মৃগী) রোগীর জন্য সতর্কতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেহেতু এপিলেপ্সি আক্রান্তির আগে অথবা আক্রান্তির সময় কিছু নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করতে সাহায্য করতে পারে। নিম্নলিখিত সতর্কতা সূচনা দেওয়া হলো:

এপিলেপ্সি রোগীর কাছে তাদের আক্রান্তির আগে সাধারণভাবে এপিলেপ্সি আক্রান্তের ঔপসর্গ হয়। আক্রান্তের আগে এবং আক্রান্তির সময় সাবধান থাকতে সাহায্য করতে পারে।এপিলেপ্সি রোগীর জন্য ঘরে বা অন্য জায়গায় আবস্থান সুরক্ষিত করা গুরুত্বপূর্ণ। এপিলেপ্সি আক্রান্তির সময় যেন উনি একা না থাকে এবং কারো আশ্রয়ে থাকে,যাতে কোনো ঝুঁকি না থাকে।