একজন মহিলার যোনিপথে সাধারণত ট্রাইকোমোনাস ভেজাইনালিস নামক পরজীবীর সংক্ৰমন ঘটেথাকে। ক্যানডিডা নামক এক প্রকার ফাঙ্গাসজনিত সংক্রমনও দেখাদিতে পারে। এছাড়া একজন মহিলার যৌন উপায়ে সংক্রমিত ভিবিন্ন রোগ যেমন গণরিয়া,সিফিলিস ইত্যাদি রোগের জীবন দ্বারাও আক্রান্ত হতে পারে। যে সব মহিলা গণরিয়া আক্রান্ত হয় তাদের মধ্যে শতকরা ৫০-৬০ ভাগ ও একই সাথে ট্রাইকোমোনাস ভেজাইনালস নামক পরজীবীর দ্বারাও আক্রান্ত হতে পারে। 

নারীদের যোনির প্রদাহ একটি অতিশয় যন্ত্রনা দায়ক সমস্যা। এই ধরনের সমস্যায় নারীদের যোনি লাল বর্ণ ,উষ্ণ,স্ফীত এবং বেদনাদায়ক হয়ে পুচ নিস্সিত হয় এবং পস্রাব করার সময় যন্ত্রনা অনূভুত হয় তার সাথে যোনিতে চুলকানি দেখা দেয়। যোনিতে ভিবিন্ন প্রকার সমস্যা হতে থাকে।  যেমন :যোনির প্রদাহ,যোনির আক্ষেপ,অবরুদ্ধ যোনি,যোনির চুলকানি ইত্যাদি। 

যোনির প্রদাহ হলো যোনি বা মাইত্রী পোষণকর্তৃক অপস্থিত বা আনুভব করা দুঃখদায়ক অবস্থা বা অসুখের সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি সাধারণভাবে মহিলাদের জন্য সম্প্রেষণের ফলাফল হয়, তবে পুরুষদের জন্যও সম্ভব।

নারীদের যোনির প্রদাহের সাধারণ লক্ষণ এবং সমস্যার কারণের মধ্যে নিম্নলিখিত সম্মিলিত হতে পারে:

  • 1.যোনি এলাকায় জ্বর (উষ্ণতা, দাহ্য, সুঁটির অবস্থা)।
    2.যোনি থেকে দুষ্টু বা দুঃস্বপ্ন আসতে পারে।
    3.যোনি এলাকায় ব্যাথা এবং অস্ত্রোচ্চাটন অবস্থা হতে পারে।
    4.পুরুষদের ক্ষেত্রে, যোনির প্রদাহ যৌন সঙ্গমের সময় বা পুরুষের মূল্যায়নে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
    5.যোনির প্রদাহ থাকলে যৌন সঙ্গমের সময় বা ইউরোলজিক প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়ায় দুশ্চিন্তা সৃষ্টি হতে পারে।

এই সমস্যাটি আপনার জীবনে অসুখ এবং অস্বস্থতার সৃষ্টি করতে পারে, তাই এটি যত্ন নেওয়া দরকার। আপনার যোনির প্রদাহের চিকিৎসা জন্য আপনি আপনার স্থানীয় চিকিৎসকে দেখাতে পারেন, যোগাযোগ যৌন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা বা পরামর্শ পেতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে পারেন।

কারণ 

যোনিপথে দুটি কারণে প্রদাহ হতে পারে। 

(১)অসংক্রমিত প্রদাহ: যোনিপথের স্রাব পরীক্ষা করলে কোনরকম জীবাণু  পাওয়া যায়না। স্বামী- স্ত্রীর মিলন ছাড়া এ রোগ এক দেহ ছাড়া অনন্দেহে যায়না। 

এ ধরনের প্রদাহের্ উৎস হচ্ছে ,

(২)সংক্রমিত প্রদাহ: যে প্রদাহ এক দেহ থেকে অন্য দেহে সংক্রমিত হয় তাকে সংক্রমিত প্রদাহ বলে। এ আবার দুভাগে ভাগ করা হয়,

ক)নিদ্রিষ্ট ব্যাকটেরিয়া দ্বারা :গণরিয়া,সিফিলিস ইত্যাদি 

খ)নিদ্রিষ্ট ছত্রাক দ্বারা:ট্রাইকোমোনা , মনিলিয়াল ইত্যাদি 

প্রতিরোধ 

  1. রোগীকে ব্যাক্তিগত পরিস্কার পরিছন্নতার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। 
  2. পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। 
  3. রোগীকে প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে। 
  4. বিশ্রাম নিতে হবে। 
  5. রোগমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে অথবা কনডম ব্যাবহার করতে হবে। 
  6. রোগীর কাপড় যেন অন্যকেউ ব্যাবহার না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

চিকিৎসা 

মেট্রোনিডাজল ২০০ মি লি গ্রাম 

একটা করে দিনে ৩ বার ৭ দিন। (একই চিকিৎসা স্বামী- স্ত্রী উভয়ই একই পরিমান ,একই সাথে নিতে হবে ,অর্থাৎ স্বামীকেও একই চিকিৎসা নিতে হবে.

কারন তা না হলে স্বামী রোগের বাহক থেকে যাবে, এবং পুনরায় স্ত্রী আক্রান্ত হবে )

সিটিরিজিন ১০ মি লি গ্রাম

একটা করে দিনে ২ বার ৭ দিন। যদি চুলকানি থাকে। 

ফ্লুকোনাজল ১৫০ ১০ মি লি গ্রাম

একটা করে ৭ দিন পর পর ৪ সপ্তাহ। প্রয়জনে ডাক্তার দেখতে হবে। 

 

আরো পড়ুন :

মূত্রনালীর প্রদাহের কারণ,লক্ষণ ও চিকিৎসা