রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস কি?
এটি একটি অটোইমিউন রোগ। এটি সাধারণত ১৫থেকে ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে হয়ে থাকে। এতে শরীরের নিজস্ব রোগপ্রতিরূদ ক্ষমতার কারণেই আপনা আপনি কিছু টিস্যু ক্ষতিগ্রস্থ হয় ,অস্থিসন্দির বহিরাবনিতে প্রদাহ হয়। এ কারনে অস্থিসন্দি ও এর আশপাশে ব্যাথা হয়,জড়তা তৈরি হয় , ফুলে যায় ,লাল হয়ে যায় এবং জ্বর জ্বর অনুভতি হয়। এতে অস্থিসন্দির আকারে বিকৃতিও ঘটে। এটি যতদিন যায় আরও ত্রিব্র হতে থাকে। মাজে মধ্যে ব্যাথা ও ফোলা এমনিতেই কমেযায় ,আবার বাড়ে।
অস্থিসন্দি ছাড়াও রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস এ ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখাযায় , চোখ ফুসফুস ও হার্ট।
রিউমাটোয়েড আর্থ্রাইটিস হলো একটি অস্বাভাবিক অস্থিবাদ সমস্যা, যা মানব যন্ত্রণা সিস্টেমের সাথে যুক্তিসঙ্গত সমস্যা সম্পর্কিত। রিউমাটোয়েড আর্থ্রাইটিস একটি অস্থিবাদ রোগ যা অনেক সময় ব্যক্তির যন্ত্রণায় অদ্ভুত স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া উৎপন্ন করে। এই রোগের কারণ এবং সমস্যার লক্ষণ ব্যবহারকারী থেকে থেকে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির মধ্যে বিভিন্ন হতে পারে।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস কেন হয়/ কারণ
- রিউমাটয়েড আথ্রাইটিসের মূল কারন এখনো অজানা। তবে গবেষণায় দেখাগেছে , নিম্নের কারণগুলো থাকলে এ রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে।
- বংশগত কারন
- পরিবেশ গত কারণেও রোগটি হয়ার ঝুঁকি থাকে
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এর লক্ষণ
- ধীরে ধীরে পরিধির দিকের সন্দীগোলোতে ব্যাথা হয় ,শক্ত হয় বা টেনে ধরে ও ফুলে যায়
- প্রথমে সন্দীগোলোতে নড়াচড়া হলে ব্যাথা করে , সকালের দিকে টেনে ধরে এবং হাত পায়ের সন্দীগোলো প্রথমে আক্রান্ত হয়।
- আস্তে আস্তে বড় সন্ধি গোলো আক্রান্ত হয়, যেমন:কব্জি ,কনুই সোল্ডার , পায়ের গোড়ালি , হাটু ইত্যাদি।
- সন্ধি ছাড়াও সব অঙ্গপ্রতঙ্গ আক্রান্ত হয় ,যেমনঃ
- ফুসফুস
- স্নায়ু ও
- রক্তসংবহন তন্ত্র।
- চোখ
- হৃদযন্ত্র
- সাধারণ ব্যাবস্থা
- রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস উদ্ধেশ্য হলো রোগীর সাধারণ অবস্থার উন্নয়ণ এবং অস্থিসন্দিকে স্থিতি রাখা। সাধারণ ব্যাবস্থার মধ্যে রয়েছে :
- .পূর্ন বিশ্রাম নেয়া। এটা ফুলা , ব্যাথা ও অবসাদ দূরকরতে সহায়তা করে।
- . ভালো খাওয়া দাওয়া করা। প্রোটিন ও মিনারেল যুক্ত খাবার খাওয়া।
- . রক্ত সল্পতা থাকলে তা দূর করা ও হেমাটিনিকের মাধ্যমে ঠিক করা।
- . অস্থির উন্নয়নে ইস্টোজেন হরমোন মিশ্রণ গ্রহণ করা।
- . সংক্রমিত কেন্দ্রবিন্দু অপসারণ করা।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এর চিকিৎসা
রিউমাটয়েড আথ্রাইটিসের চিকিৎসা পদ্ধতি হলো একটি সমন্বিত কার্যক্রম। এই টিমে রয়েছে একজন রিউমাটোলজিস্ট বা বাতরোগ বিশেষজ্ঞ, অর্থপেডিক সার্জন ,ফিজিওথেরাপিস্ট ,অকুপেশনাল বা পেশাগত থেরাপিস্ট,অর্থটেস্ট এবং সোশ্যাল ওয়ার্কের বা সমাজকর্মী। রোগের বৈশিষ্ট ও স্তর অনুযায়ী এই টিমের একেক জনের একেক ভমিকা রয়েছে।