স্ক্যাবিস রোগ যা চুলকানি পরিচিত একটি মারাত্বক ছুঁয়েছে রোগ। এর স্থানীয় নামগুলো হলো খুশি-পসড়া। Sarcoptes Scabiei নামক এক ধরনের পরজীবী অণুজীব চুলকানির কারণ এর জন্য দায়ী। স্পর্শের মাদ্যমে এ রোগ হয়। তা ছাড়া রোগীর ব্যবহুত কাপড়,গামছা,বিছানা ব্যাবহার করলে এ রোগ হয়। বিশেষ ভাবে শিশুরা এ রোগে ব্যাপক ভাবে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এটি একটি জীবাণু বাহিত রোগ। এ ক্ষেত্রে শরীরে অসম্বব রকম চুলকানির কারণ হতে দেখা যায় এবং রাতের বেলায় চুলকানি আরো বাড়ে

রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ (symptoms and signs)

  • সারা শরীর চুলকাতে পারে,তবে আঙুলের ফাঁকে,নিতম্ভে,যৌনাঙ্গ ,হাতের তালুতে,বগল ও নাভিতে এবং কুনুইয়ে চুলকানি শুরু হয় এবং স্থানগুলোতে সমস্বা বেশি হয়।
  • চুলকানি রাতে বেশি অনুভূত হয়।
  • ছুটে ছুটে ফুসকুড়ি উঠে ,যা খুব চুলকায় এবং তা থেকে পানির মত তরল বের হতে থাকে।
  • চুলকানির ফলে ক্ষত হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে স্টেপটোকক্কাস ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি দেখা দেয়।

প্রতিরোধ (prevention )

  • যেহেতু পরিবারের একজনের হলে অন্যজনের হওয়ার ঝুঁকি থাকে রোগীর যেকোন চুলকানি হলে তার বিছানা ও আলাদা করতে হবে।
  • সুস্থ  লোকদের সরাসরি রোগীর কাছে না আসা উচিত।

চিকিৎসা (treatment)

প্রধান ও কার্যকরী চিকিৎসা হলো পরিষ্কার পরিছন্ন থাকা। নিয়মিত রোগীর বিছানার চাদর,বালিশের কভার,ও ব্যবহূত কাপড় গরম পানিতে পরিষ্কার করা। রোগসারার পরও রোগীর ব্যাবহূত জিনিসপত্র এভাবে পরিষ্কার করা। প্রয়ুজ্নে পরিবারের সবাইকে একসাথে চিকিৎসা নেওয়া।

১.৫% পারমেথ্রিন। যা গলা থেকে পা পর্যন্ত পুরো শরীরে ভালোভাবে ব্যাবহার করতে হবে। রাতে এবং সাত দিন পর একই নিয়মে ঔষধ ব্যাবহার করতে হবে।

পরদিন গোসল করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে ঔষধ যেন শরীরে কমপক্ষে ১২ ঘন্টা থাকে।

২৫%বেনজাইল বেনজয়েট লোশন  গলা থেকে পা পর্যন্ত পুরো শরীরে ভালোভাবে ব্যাবহার করতে হবে। প্রতিদিন একবার করে তিন দিন। এই তিনদিন গোসল নাকরলে ভালো।

চুলকানি মারাত্বক অবস্থায় হলে : এন্টিহিস্টামিন।

এন্টিবায়ুটিকে (ফ্লুক্লক্সাসিলিন বা সেফ্রাডিন )জাতীয় ঔষধ দিতে হবে।

 

প্রাকৃতিক চিকিৎসা

  • কমপক্ষে এক থেকে দুই সপ্তাহ নিম পাতা সিদ্ব করে কুসুম গরম পানিদিয়ে গোসল করা।
  • নিমপাতা ও ফুল বেটে গায়ে লাগাতে হবে।
  • নিমের ক্যাপসুল (বাজারে পাওয়া যায় ) খেতে হবে তিন বেলা।