প্রতিটি বাড়ির পানির ও  বিদ্যুতের লাইনের মতই হৃদপিণ্ডের পানির লাইন (রক্ত প্রবাহ)ও (বিদ্যৎ প্রবাহ )ব্যাবস্থা থাকে। এ দুটি ব্যাবস্থা পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্নয়ের মাধমে কাজ করে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বা সরবরাহ পক্রিয়ার বাধা বা সমস্যাকে হার্ট ব্লক বলে। হার্ট ব্লক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রবাহ জনিত সমস্যা। নিজস্ব রক্তনালীর মাধমে পরিচালিত রক্ত প্রবাহের সমস্যাকে ইসফেমিক হার্ট ডিজিজ (Ischemic heart disease)বলাহয়। হৃদপিণ্ডের রক্তনালীর সংকোচনের জন্য এই ইসফেমিক হার্ট ডিজিজ হয়ে থাকে। তাই সহজ ভাবে বলাযায় –

 

  • হৃদপিণ্ডের বিদ্যুৎ ব্যাবস্থায় সমস্যাকে হার্ট ব্লক(heart block) বলে। 
  • হৃদপিণ্ডের রক্ত সরবরাহের সমস্যাকে ইসফেমিক হার্ট ডিজিজ(Ischemic heart disease)বা ইসফেমিয়া/ইনফার্কশন বলে। 

ব্লক কী

আমাদের সারা দেহে ছড়িয়ে আছে দুই ধরনের রক্তনালি- ধমনী ও শিরা। ধমনীর কাজ হল অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে সারা শরীরে ছড়িয়ে দেয়া। ধমনীর প্রবাহপথ কোন কারণে সরু বা বন্ধ হয়ে গেলে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়, এই বাধাকে বলে ‘ব্লক’ (ইষড়পশ)।

কারণ (Causes )

  • ইসফেমিক হার্ট ডিজিজ
  • হৃদপিণ্ডের প্রবাহ 
  • বর্ধক্ক ও ঔষধ 
  • হৃদপিণ্ডের অনুপ্রবেশ (সারকোয়ডোসিস,নিও প্লাজম )
  • হৃদপিণ্ডের আঘাত ও জন্মগত। 

হার্টকে ব্লকমুক্ত রাখতে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ ও ধূমপান পরিহার করা অত্যন্ত জরুরি। কাজটি খুব সহজ নয়। এজন্য চাই দৃঢ় মনোবল এবং জীবনাচরণে পরিবর্তন।

রোগের লক্ষণ ও উপসর্গঃ (Signs and symptoms)

  1. মাথা হালকা লাগা
  2. অল্প সময়ের জন্য অজ্ঞান হওয়া।
  3. পালপিটিশন

ল্যাবরেটরি পরীক্ষা (investigation)

  1. ইকোকার্ডিওগ্রাফি (Echocardiography)
  2. হল্টার মনিটরিং (Halter monitoring)
  3. এপিস্টাডি ও রুটিন পরীক্ষা। (Epistudy and routine examination.)

প্রতিরোধ(prevention )

চিকিৎসার অর্থনৈতিক ঝুঁকি মুক্তির উপায় হচ্ছে প্রতিরোধ,পরিবর্তিত জীবন যাত্রা হার্ট ব্লকের সম্ভাবনা অনেক কমিয়ে আনে। হার্ট ব্লকের প্রতিরোধের জন্য যা করনীয়ঃ
  • প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করা।
  • তেল চর্বি -মিষ্টি কম খাওয়া।
  • সুষম খাবার গ্রহণ করা ও প্রচুর শাকসব্জি খাওয়া।
  • পরিমিত পানি পান করা এবং ধুম পান ও মদ্যপান না করা।
  • হার্ট ব্লকের কোন কারন জানা থাকলে যথাযত চিকিৎসা করা।
  • কখনই উত্তেজিত হওয়া যাবেনা
  • শরীরের ওজন আদর্শ মাত্রায় রাখুন।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না।

চিকিৎসা (treatment)

হৃদ রোগ বিশেষজ্ঞের তত্বাবদানে ধারাবাহিক ভাবে চিকিৎসা নিতে হবে। চিকিৎসার দুটি ধাপঃ
  1. হার্ট ব্লকের কারণের চিকিৎসা
  2. সহায়ক চিকিৎসা -প্রয়োজন মত পেসমেকার স্থাপন।