টনসিল কি

জিহ্বার শেষপ্রান্তে,আলজিহ্বার নিচে বাম বা ডানপাশে বাদামের মত ১.৫ সেন্টিমিটারের মত আকারে লাল বর্ণের মাংসপেন্ডকে টনসিল(Tonsil) বলা হয়। টনসিল দেখতে মাংসপিন্ডের মতো হলেও এটি লসিকা কলা বা লিমফয়েড টিসু দিয়ে তৈরি। কুখগহ্বরের দুপাশে দুটি  টনসিলের অবস্থান। মুখ,গলা,নাক কিংবা সাইনাস হয়ে রোগ জীবাণু অন্ত্রে বা পেতে ঢুকতে বাধা দেয় এই টনসিল,অর্থাৎ টনসিল শরীরের রোগপ্রতিরূদ   ক্ষমতা তৌরি করে।

টনসিলাইটিস

টনসিল সমূহ যখন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাকের সংক্রমণ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে প্রদাহের বা ইনফেকশনের সৃষ্টি করে ভিন্ন সমস্যার দেখাদেয় তখন তাকে টনসিলাইটিস বলে। জন্ম থেকেই গলার মদ্যে এই টনসিল থাকে এবং বাচাদের বেলায় টনসিল আকারে বড় দেখা যায় , পর্যায় ক্রমে বয়স বাড়ার সাথে সাথে টনসিল ক্রমান্নয়ে ছোট হতে থাকে।

টনসিলাইটিস এর কারণ 

১)স্ট্রেপট্রোকক্কাস নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ

২)ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খেলে

৩)আইসক্রিম খেলে

৪)খুব বেশি ঠান্ডা লাগলে

টনসিলাইটিস  সাধারণত দুই প্রকার :

ক)তীব্র বা একিউট (acute) টনসিলাইটিস

খ )দীর্ঘ মেয়াদি বা ক্রনিক (chronic) টনসিলাইটিস

একিউট (acute) টনসিলাইটিসসের লক্ষণ :

  • ঠান্ডা – সর্দি
  • অত্যাদি জ্বর বা জ্বরের সাথে কাঁপুনি
  • গলা ব্যাথা
  • খুসখুসে কাশি
  • খাবার গিলতে বা পানিপান করতে ব্যাথা
  • নিঃশ্বাস নিতে সমস্বা
  • মুখের ভিতরে টনসিল বেশ লাল বর্ণ ধারণ করে
  • টনসিলের উপর হলুদ বা সাদা আস্তরণ পড়তে পারে
  • গলার ভেতর এর আশপাশের অন্ন লসিকা গ্রন্থিও ফুলে যাওয়া বা মাড়িতে ব্যাথা

ক্রনিক (chronic)টনসিলাইটিসের লক্ষণ :

  • জিনিসের গন্ধ পাওয়া যায়
  • জোর করে গ্রান নিতে গেলে সবকিছুই গন্ধ পাওয়া যায়
  • ঘুমাতে খুব অসুবিধা হয়
  • শিশু ঘুমাতে ভয় পায়
  • নাক ডাকার সমস্বা হতে পারে
  • অনেক সময় বাচ্চার ঘুমেরে ধরন বদলে যায়
  • থুতনি এগিয়ে আসে
  • মাথা ব্যাথা
  • ঘায়ের করনে গলায় ব্যাথা
  • কানে ব্যাথা
  • মুখ অনবরত লাল জমতে থাকা
  • খাবার খেতে কষ্ট ও মুখ হ্যাঁ করতে কষ্ট পাওয়া

সতর্কতা :

সাধারণত টনসিলাইটিসে আক্রান্ত হবার কয়েক দিনের মদ্যে রোগী সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। তারপরও কিছু সতর্কতা আবশ্বক : খাদ্যভ্ভাসে কিছুটা পরিবর্তন করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। পরিমান মত পানিপান ও পানীয় পান করতে হবে। তবে কোন এসিড জাতীয় পানীয়  না খাওয়া ,যেমনঃ কোক , স্প্রাইট  ইত্যাদি। নরম খাবার খেতে হবে ,যাতে সহজে গীলা যায় ও হজম হয়। এককাপ কুসুম গরম পানির সাথে ১/৪চা চামচ লবন মিশিয়ে গলা গড় গড় করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। দিনে অন্তত ৩-৪ বার করতে হবে।

টনসিলাইটিস এর চিকিৎসা

টনসিলাইটিস এর জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের তালিকা, টনসিলের চিকিৎসা নির্ভর করে কারনে উপর। যদি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়ে থাকে তবে সঠিক নিয়মে ঔষধ খেলে ৭ দিনেই  প্রায় সব রুগীই ভালো হয়।
এমোক্সিসিলিন ৫০০ এম জি দিনে ৩বার অথবা সিফইউরুক্সিম ২০০ এম জি দিনে ২বার।
ব্যাথা থাকলে  প্যারাসিটামল ৫০০ আমি জি দিনে ৩ বার
ঠান্ডা – সর্দি  থাকলে এন্টিহিস্টামিন।
শ্বসনতন্ত্র বা নাক,কান,গলা বিভাগের কিছু রোগ ও তার করণ,লক্ষণ ও চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা ;;;

ফ্যারিনজাইটিসের করণ,লক্ষণ ও চিকিৎসা

সর্দিকাশির কারণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা

সাইনোসাইটিসের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা।